পতনের কারণ অনুসন্ধান করতে স্টক একচেঞ্জকে বিএসইসির নির্দেশ
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: নেতিবাচক অবস্থান থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। সূচক একদিন বাড়ে তো তিনদিন কমে। ফলে দেখা যাচ্ছে বাজারের মধ্যে একটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এমনকি বাজার নিয়ে বেশ কয়েকবার জরুরি বৈঠক করলেও দর পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না শেয়ারবাজার। এর কারণ বা এর পেছনে কোন কারসাজি আছে কি না এবার তার অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গতকাল কমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের দুই স্টক একচেঞ্জকে দর পতনের অনুসন্ধান করতে আদেশ দেন। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি জানায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯৯.৪৩ পয়েন্ট এবং সিএসইর সাধারণ সূচক কমেছে ১৭৮.৩৫ পয়েন্ট।
এমন পরিস্থিতীতে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের ঋনাত্মক অবস্থানের কারণ অনুসন্ধানের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। ঋনাত্মক ধারার পেছনে কোনো কারসাজি আছে কী না, তা খতিয়ে দেখে অতিসত্ত্বর কমিশনকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ দেখা যায়, ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৯৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৯৩০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১৯৩ পয়েন্টে।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৫২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৬০৫০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৪০৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২২৩০ পয়েন্টে।
তবে ওইদিন টাকায় লেনদেন হয়েছিল ৫১২ কোটি ১৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। কিন্তু রোববার টাকায় লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় রোববার টাকায় ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭১ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এদিকে, রোববার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ১৪৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৯৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ২৯২ পয়েন্টে। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর