আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, সোমবার |

kidarkar

বিএসইসি’র নির্দেশেও থামেনি পতন

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও ৩২ মিনিট পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে সূচক। সোমবার লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আলোচিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৭ কোটি টাকা।

নেতিবাচক অবস্থান থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। সূচক একদিন বাড়ে তো তিনদিন কমে। ফলে দেখা যাচ্ছে বাজারের মধ্যে একটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এমনকি বাজার নিয়ে বেশ কয়েকবার জরুরি বৈঠক করলেও দর পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না শেয়ারবাজার। এর কারণ বা এর পেছনে কোন কারসাজি আছে কি না এবার তার অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এদিকে সংশ্নিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক খাতের সংকট নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে শেয়ারবাজারে নতুন করে দরপতন শুরু হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। তারা জানান, মুদ্রানীতি-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে ব্যাংকগুলো আমানত বৃদ্ধির দিকে বেশি মনোযোগী। এতে শেয়ারবাজারমুখী তারল্য প্রবাহ কমেছে।

এমন পরিস্থিতিতে গত শনিবার অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে শেয়ারবাজার ও চলমান আর্থিক সংকট বিষয়ে গভর্নর ফজলে কবিরের বক্তব্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও মনস্তাত্ত্বিক ভীতি তৈরি করছে।

আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৯৪০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৮৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১৮৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৭৭ কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৯৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৯৫০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১৯৩ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪০ কোটি ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৩ কোটি ৭ লাখ ৮ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২২৩টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.