আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, শনিবার |

kidarkar

‘সু’দিনের অপেক্ষায় বিনিয়োগকারীরা

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) নেতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের প্রতিদিনই সূচক কমেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উভয় শেয়ারবাজারে প্রায় সব ধরনের সূচক কমেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমান ৪১.৯০ শতাংশ কমেছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কমেছে সূচক ও লেনদেন।

দেশের শেয়ারবাজারে শুরু হওয়া দরপতন থামছে না। ভালো খবরেও সাড়া দিচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। সাম্প্রতিক সময়ে দরপতনের কারণ ছিল ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত বা এডিআর কমানো ও স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত অংশীদার নির্বাচনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের বিষয়গুলো। এছাড়া সরকারি ব্যাংকের অতিরিক্ত আমানত ফেরত দিতে গিয়ে আইসিবির শেয়ার বিক্রির চাপেও দরপতন মাত্রা ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে সব ইস্যুর সমাধান হয়েছে। এছাড়া এখন চলছে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড ঘোষণার মৌসুম। সামনে আসবে পরিচালকদের শেয়ার কেনার ঘোষণা। তারপরও শেয়ারদর ও সূচকের পতন থামছে না।

এদিকে, সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই্ক্স ১৪৩.২২ পয়েন্ট বা ২.৩৭ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ৫ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক পয়েন্ট বা ৬০.৬৭ পয়েন্ট বা ২.৭২ শতাংশ এবং শরিয়াহ সূচক ২৯.৯২ পয়েন্ট বা ২.১৩ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে যথাক্রমে ২১৭০ ও ১৩৭৫ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৩৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ২৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টি প্রতিষ্ঠানের। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৮০ কেটি ৬২ লাখ ৮৬ হাজার ৯০ টাকা বা ৪১.৯০ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৭৯ কোটি ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৫৮৮ টাকার।

আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দশমিক ২৭ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৭১ পয়েন্ট বা ২.৫১ শতাংশ কমে দাড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৫১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪৬৩ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ২৭৮ পয়েন্ট ও সিএসআই ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৭৬, ১৬৪৯৭, ১১০১৯ ও ১২২৫ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ২১৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির দর। এগুলোর ওপর ভর করে সিএসইতে সপ্তাহশেষে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১২৯ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ৯২৪ টাকার। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৬ টাকা কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৩১ কোটি ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩০ টাকার।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.