৭ ফান্ডের মুনাফা কমেছে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৭টি মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড প্রান্তিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সূচকের টানা পতনের কবলে সবগুলো ফান্ডেরই মুনাফা কমেছে। এই ৭টি ফান্ড পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব আইসিবি’র সাবসিডিয়ারি আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লি: (আইসিবিএএমসিএল)।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাইম ফাইন্যান্স ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড: আইসিবি এএমসিএল পরিচালিত এ ফান্ডটির মুনাফা প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’১৫-মার্চ’১৫) ৭৭ শতাংশ কমেছে। আলোচিত সময়ে ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছে ১৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.১০ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছিল ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.৪১ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
আইসিবি সোনালি ব্যাংক ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড: তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’১৪-মার্চ’১৫) এ ফান্ডটির নীট মুনাফা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ৩৯ শতাংশ কমেছে।
আলোচিত প্রান্তিকের এই ৯ মাসে ফান্ডটি নীট মুনাফা করেছে ৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.৭৩ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছিল ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ১.২০ টাকা।
আলোচ্য প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি’১৫-মার্চ’১৫) ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.২৩ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.৪০ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের ব্যাবধানে ফান্ডটির মুনাফা এই তিন মাসে ৪১ শতাংশ কমেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
আইএফআইএল ১ম ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড: তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’১৪-মার্চ’১৫) এ ফান্ডটির নীট মুনাফা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ কমেছে।
আলোচিত প্রান্তিকের এই ৯ মাসে ফান্ডটি নীট মুনাফা করেছে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.৭১ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছিল ৮ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.৮০ টাকা।
আলোচ্য প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি’১৫-মার্চ’১৫) ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.১৯ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.৩৬ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের ব্যাবধানে ফান্ডটির মুনাফা এই তিন মাসে ৪৮ শতাংশ কমেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
আইসিবি ৩য় এনআরবি: তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’১৪-মার্চ’১৫) এ ফান্ডটির নীট মুনাফা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ কমেছে।
আলোচিত প্রান্তিকের এই ৯ মাসে ফান্ডটি নীট মুনাফা করেছে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.৩৬ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছিল ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.৪৮ টাকা।
আলোচ্য প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি’১৫-মার্চ’১৫) ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.১৩ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা হয়েছিল ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.২৭ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের ব্যাবধানে ফান্ডটির মুনাফা এই তিন মাসে ৫৩ শতাংশ কমেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
ফোনিক্স ফাইন্যান্স ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড: তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’১৪-মার্চ’১৫) এ ফান্ডটির নীট মুনাফা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ কমেছে।
আলোচিত প্রান্তিকের এই ৯ মাসে ফান্ডটি নীট মুনাফা করেছে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.৪৯ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.৫৩ টাকা।
আলোচ্য প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি’১৫-মার্চ’১৫) ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছে ৯৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.১৬ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা হয়েছিল ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.২৩ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের ব্যাবধানে ফান্ডটির মুনাফা এই তিন মাসে ২৯ শতাংশ কমেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
প্রাইম ব্যাংক ১ম আইসিবি এএমসিএল: তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’১৪-মার্চ’১৫) এ ফান্ডটির নীট মুনাফা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু আলোচিত প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে ফান্ডটির মুনাফা কমেছে।
আলোচ্য প্রান্তিকের এই ৯ মাসে ফান্ডটি নীট মুনাফা করেছে ৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.৫৬ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছিল ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.৫৫ টাকা।
আলোচ্য প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি’১৫-মার্চ’১৫) ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.১৮ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা হয়েছিল ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ০.২৪ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের ব্যাবধানে ফান্ডটির মুনাফা এই তিন মাসে ২৫ শতাংশ কমেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
আইসিবি ১ম এনআরবি: তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই’১৪-মার্চ’১৫) এ ফান্ডটির নীট মুনাফা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ৪৩ শতাংশ কমেছে।
আলোচিত প্রান্তিকের এই ৯ মাসে ফান্ডটি নীট মুনাফা করেছে ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ১.৯৬ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ৩.৪৩ টাকা।
আলোচ্য প্রান্তিকের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি’১৫-মার্চ’১৫) ফান্ডটির নীট মুনাফা হয়েছে ৫৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই সময়ে ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ০.৫৩ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এই মুনাফা হয়েছিল ১ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং ইউনিট প্রতি আয় হয়েছিল ১.০৬ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের ব্যাবধানে ফান্ডটির মুনাফা এই তিন মাসে ৫০ শতাংশ কমেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ফান্ডটি ইউনিটহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
শেয়ারবাজারনিউজ/তু