আজ: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার |

kidarkar

রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, এডিপি বাস্তবায়ন ‘ভালো’

শেয়ারবাজার ডেস্ক: চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, আদায় তার তুলনায় ১১ থেকে ১২ শতাংশ কম বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে যে সময় বাকি আছে, তাতে এই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।

তবে বছরের প্রথম ছয় মাসে উন্নয়ন বাজেটের বাস্তবায়ন বেড়েছে জানিয়ে নিজের সন্তোষের কথাও জানান মন্ত্রী।

গত অর্থবছরের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বাড়িয়ে চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৯২ হাজার কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা।

আদায়ে ঘাটতির কারণে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা ২৫ হাজার কোটি টাকা কমানোর চিন্তা চলছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বিষয়টি রবিবার কথা বলেন সচিবালয়ে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিসিএস কাস্টমস, ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা মতো রাজস্ব আদায় হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি কেন-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা হয়নি আরকি। আশা করি এন্ড অব দ্যা বাজেট ইয়ার এটা রিকভ্যারি হয়ে যাবে।’

অর্থমন্ত্রী রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন, সেটি ধরা হয়েছিল পণ্য ও সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ধরে। কিন্তু সংসদে আওয়ামী লীগের সদস্যদের প্রবল আপত্তিতে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এর প্রস্তাব দুই বছরের জন্য পিছিয়ে দেন অর্থমন্ত্রী।

ভ্যাট হার পুনর্নির্ধারণে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হবে, সেটি আগেই ধারণা করা হয়েছিল।

আগামী বাজেটে ভ্যাট আইনে কোন পরিবর্তন আসছে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা গতবছর করেছি সেটা থাকবে। তবে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে চায় না। তারা কোন ট্যাক্স দিতে চায় না। ব্যবসায়ীরা বিনা মাশুলে ব্যবসা করতে চান।’

‘আমি যেটা বলেছি, যেটা করা দরকার এক্সিসটিং ভ্যাট রেট যেটা ছিল সেটা ঢালাওভাবে ১৫ শতাংশ করা দরকার। যেটা ৩ শতাংশ বা ৫ শতাংশ আছে সেটা সব ১৫ শতাংশ করা দরকার।’

‘দ্বিতীয়ত, ট্যারিফ ভ্যালু বাদ দিয়ে দেবা। এখন যেটা ৫০০০ টাকার মাল সেটার ট্যারিফ ভেলু হয়তো আছে ২০০০ টাকা। তার উপর ওনারা ট্যাক্স দেন। ট্যারিফ ভেলু বাদ দিলেই দে স্টার্ট দ্যা ভ্যলু অব ট্যাক্সেস।’

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে সন্তুষ্ট মুহিত

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের বাজেট অর্থায়ন খুব ভাল। প্রথম ছয় মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপির বাস্তবায়ন বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে এডিবি এই হার ছিল ২৭ শতাংশ। তার আগের বছর তা ছিল আরও কম, ২৪ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট বাস্তবায়নের এই হারে আমি খুশি। শেষ পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়ন প্রায় ৯৩ শতাংশ হবে। এটা হওয়াও উচিত।’

এ বছর নির্বাচনী বছর বলেই কি বাজেট বাস্তবায়ন ভালো?- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘না, প্রতি সপ্তাহে আমরা একনেক মিটিং করি। এতে রেজাল্ট হয়েছে এন্ড অব দি গভর্নমেন্ট। আরেকটি বিষয় হলো প্রতিবছর কিছু রুটিন ইমপ্রুভমেন্ট হয়, সেটা হয়েছে।’

কাস্টমস আইন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই খসড়া আমাদের ওয়েব সাইডে আছে। এ নিয়ে একটি কমিটি আমরা করেছিলাম। ড্রাফটের সংশোধন শেষে আইনটি আমরা চুড়ান্ত করেছি। এবারের বাজেট অধিবেশনে এটা সংসদে যাবে।’

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.