বিএসইসি’র হস্তক্ষেপে উত্থানে সূচক
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: অবশেষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হস্তক্ষেপে উত্থানে ফিরেছে সূচক। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন শুরু থেকেই সূচকে উত্থান বিরাজ করছে। মঙ্গলবার প্রথম আড়াই ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
বর্তমান সময়ের অব্যাহত দর পতনে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। গত কয়েক মাস যাবৎ দর পতনের কারণে বেশকিছু সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ব্যাপক সেল প্রেসার তৈরি হয়। যেসব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত সেল প্রেসার তৈরি হয়েছে তাদের ছাড়াও অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কোনোরুপ নোটিশ ছাড়াই জরুরিভিত্তিতে বৈঠক করে বিএসইসি। বৈঠকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অনতিবিলম্বে বাজার ভালো করার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি সেল প্রেসার কমিয়ে শেয়ার কেনার দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়। আর এ কারণেই আজ সূচকে উত্থান বিরাজ করছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
দুপুর ১টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৩৯৮৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯৭৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫১১ পয়েন্টে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া ৩০০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮০টির, কমেছে ৮২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকার লেনদেন হয়েছে ১৮২ কোটি ৯৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৩৯৫৯ পয়েন্টে। এর ফলে ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আসে সূচক। আর গত ১৮ মাসের মধ্যে এটিই ডিএসই সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর সর্বনিম্ন ৩৯৪৬ পয়েন্টে ছিল সূচকটি।
এদিকে দুপুর ১ টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭৪৬৪ পয়েন্টে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ৪৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। যা টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৮৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজার/অ