ডিএসএলআর ক্যামেরার গুরুত্বপূর্ন বিষয়
শেয়ারবাজার ডেস্ক: আমাদের আশেপাশে কিংবা বন্ধু মহলের মধ্যে ডিজিটাল ক্যামেরা কেনার একটি মিছিল লক্ষ করা যায়। এর মধ্যে যারা ডিজিটাল ক্যামেরা কিনবেন ভাবছেন এবং যারা এই বিষয়ে আগ্রহী তাদের জন্য ডিজিটাল ক্যামেরা সম্পর্কিত কিছু টিপস নিচে দেয়া হল।
১. সাধারণ লেন্সে জুমের সাথে সাথে অ্যাপার্চারের পরিবর্তন করতে হবে: ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরা কিনলে তার সাথে সাধারনত একটি কিট লেন্স দেয়া হয়। যা অত্যান্ত কম দামের এবং কিছুটা নিম্ন মানের। তবে ছবি তোলার জন্য যথেষ্ট। যখনই জুমের পরিবর্তন করা হয় তখনই এর অ্যাপার্চার সেটিং পরিবর্তিত হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনমত জুম করার পর সেই অনুযায়ী অ্যাপার্চার পরিবর্তন করে নিতে হবে।
২. প্রতিটি লেন্সের জন্য ইউভি (uv)ফিল্টার প্রয়োজন: প্রতিটি লেন্সের জন্য ইউভি (uv) ফিল্টার রাখা উচিৎ। কেননা, এটি অতিবেগুনী রশ্মির কারণে ছবির ডিস্টরশনের হাত থেকে বাঁচাবে এবং লেন্সকে দাগের হাত থেকে রক্ষা করবে। ইউভি (uv) ফিল্টারের দাম লেন্সের চেয়ে অনেক কম।আর তাই প্রতিটি লেন্সের জন্য ইউভি ফিল্টা রাখাই যায়।
৩. র (RAW) ফাইল ফরম্যাটে ছবি তুলুন: ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরা সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে হলে র (RAW) ফরম্যাটে ছবি তুলতে হবে। ডিএসএলআর (DSLR) এই ফরম্যাটে ছবি তোলার সময় ছবিতে যে প্রসেসিং ইফেক্ট যুক্ত হয় তা দূর করার সুযোগ থাকে। যেমন, ক্যামেরা সেটিংয়ে যদি কোনো ত্রুটি থাকে তবে ‘র এডিটর’ (RAW editor) দিয়ে তা দূর কর সম্ভব।
৪. সঠিক ফোকাস নিশ্চিত করা: ছবি তোলার সময় সঠিক ফোকাস সেট করা গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ সময়ই যা সম্ভব হয় না এবং ছবি যতটা স্পষ্ট হওয়া উচিৎ ততটা হয় না। বিশেষ করে দ্রুত ছবি তুলতে গেলে এটি সমস্যার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। প্রথম ছবিটি তুলে জুম ইন করে দেখলেই বোঝা যাবে ফোকাস ঠিক আছে কিনা।
৫. ছবি তুলতে কার্পন্য ছাড়ুন:নিখুঁত ছবি তোলার চাবিকাঠি হচ্ছে প্রচুর ছবি তোলা। আর এর জন্যই ছবি তুলতে কার্পন্য না করাই ভাল।
অনেক সময় দেখা যায় লেন্সের মধ্যে দিয়ে তাকানোর পর লক্ষ্যবস্তু প্রত্যাশিত স্থানে থাকে না। এই সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রায় আধা ডজন বা তারও বেশী ছবি নেয়া ভাল। যদিও বেশিরভাগই এখান থেকে বাদ পড়ে যাবে তার পরও এতে ভালো ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৬. তুলনামুলক কমদামী ৫০ মিমি এফ/১.৭ বা এফ/১.৮ লেন্স: যেই ডিএসএলআর (DSLR)-ই কেনা হোক না কেন সবগুলোর জন্যই ৫০ মিমি এফ/১.৭ বা এফ/১.৮ লেন্স রয়েছে। এই লেন্সগুলোর দাম কম, কিন্তু ডেপথ অব ফিল্ড এবং লো-লাইট সেটিংস নিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দেবে যা অন্য লেন্সে পাওয়া যাবে না।
৭. সব ধরণের সেটিং ও মোড ব্যবহার করে ছবি তুলুন: কোনো সেটিং বা মোড সম্পর্কে না জানা থাকলে প্রত্যেক মোড ও সেটিং ব্যবহার করে কয়েকটি ছবি তুলে পরীক্ষা করা যেতে পারে কোন ছবিটি ভালো লাগে। সেই সেটিং বা মোডটি ভবিষ্যতে আরও ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।
৮. শাটার ও অ্যাপার্চার মোডের ব্যবহার: নতুন ডিজিটাল ক্যমেরা ব্যবহারকারীদের জন্য ম্যানুয়াল শুটিং মোডের ব্যবহার শেখা একটু কঠিন হতে পারে। এই কাজটি আরও সহজে করার জন্য শাটার প্রায়োরিটি (Shutter Priority) এবং অ্যাপার্চার (Aperture Priority) প্রায়োরিটি মোড ব্যবহার করতে হবে। এই মোড দুটি সেমি-অটো ও সেমি-ম্যানুয়াল মোড, এবং উভয় মোডই ক্যামেরার সর্বোত্তম ব্যবহার শিখতে সাহায্য করবে।
৯. স্বাভাবিক ছবি তোলার জন্য হোয়াইট ব্যালেন্স কাজে লাগান: ডিজিটাল ক্যামেরায় হোয়াইট ব্যালেন্স নামে এক ধরণের সেটিং রয়েছে, যা যেকোনো ধরনের আলোক অবস্থায় ছবিতে স্বাভাবিক রঙ প্রদান করবে। এর মধ্যে অটো এবং ফ্ল্যাশ থেকে শুরু করে ডে-লাইট এবং ক্লাউডি পর্যন্ত সবই রয়েছে। কোনটি ভালো কাজ করে তা দেখার জন্য বিভিন্ন আলোক অবস্থায় এগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
১০. পুরনো ব্যবহার করা ডিএসএলআর কেনার কথা বিবেচনা করা গেতে পারে: প্রথম ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার সময় টাকা বাঁচানোর ভালো উপায় হচ্ছে কমদামী ক্যামেরা বা হ্রাসকৃত মুল্যের ক্যামেরা ক্রয় করা। এতে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে যা লেন্স ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যেতে পারে। সূত্র: ইন্টারনেট।
শেয়ারবাজার/রু