শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এইদিন শুরু থেকেই সেল প্রেসারে সূচক ৬৮ পয়েন্ট কমলেও দুই ঘন্টা পর প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে বড় পতনের হাত থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এরই ধারাবাহিকতায় টানা ৩ কার্যদিবস পতনের পর উত্থানে বিরাজ করছে বাজার। বৃহস্পতিবার সূচক কিছুটা বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৮ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজকের বাজারে শুরু থেকেই বাজারে ব্যাপক সেল প্রেসার লক্ষ্য করা গেছে। তবে দিনভর এ ধারা বিদ্যমান থাকলেও প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে উত্থানে ফিরেছে বাজারে। যা নিয়ে সবমহলই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৫৮০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৭৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩২২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২০৮২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৯টির, কমেছে ১৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৮৮ কোটি ২১ লাখ ২৯ হাজার টাকা।

এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৫৭২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩২২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২০৮৪ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৫২ কোটি ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৬ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৪টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু