আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার |

kidarkar

৯ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১৯ হাজার কোটি টাকা

শেয়ারবাজার রি‌পোর্ট: বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ৯টি ব্যাংক তাদের মূলধনও খেয়ে ফেলেছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, বেসিক, রূপালী, কৃষি, রাকাব ও আইসিবি ইসলামিক। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি আরও তিনটি ব্যাংক রয়েছে।

ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ১৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। এদিকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আমানত ফেরত দিতে পারছে না ফারমার্স ব্যাংক। ভুক্তভোগী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান টাকা ফেরত চেয়েও পাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্ব শেষ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি খাতের আরও কয়েকটি ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তির দুর্বলতা ক্রমেই প্রকট আকার ধারণ করেছে। এসব ব্যাংক ঋণের মান অনুযায়ী নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে গিয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পুরো হোঁচট খেয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সুশাসনের অভাবে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে সরকারি বিশেষায়িত খাতের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের ঘাটতি ৫ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি ২ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ৬৩৮ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘাটতি ৮১৩ কোটি টাকা। এর বাইরে বেসরকারি খাতের আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ঘাটতি রয়েছে ১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা।

এদিকে সমস্যাগ্রস্ত ফারমার্স ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮৩ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকটির আসলে কিছুই নেই। সবমিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ৯ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১৯ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি ব্যাংকগুলোকে ২০১১-১২ অর্থবছরে বাজেট থেকে ৩৪১ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৫৪১ কোটি, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ হাজার কোটি, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকার মূলধন জোগান দেয় সরকার। এছাড়া ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মূলধন জোগান দিয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। তবে ব্যাংকগুলো চেয়েছিল সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্যাংকিং খাতের করুণ পরিণতি শুরু হয় ২০০৯ সালে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন ব্যাংক এবং একই পন্থায় সরকারি ব্যাংকের এমডি-চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার পর থেকে এমন দশা। এর আগে ব্যাংকিং খাতে মূলধন ঘাটতি এতটা প্রকট ছিল না।

তবে এ ধারা অব্যাহত থাকলে সংকট আরও বাড়বে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যবসার পরিবর্তে এসব ব্যাংক এখন মূলধন জোগান নিয়েই চিন্তিত। গত বছরের শুরু থেকেই মূলধন ঘাটতি মেটাতে সরকারের কাছে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংক।

 

শেয়ারবাজার‌নিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.