ব্যাংক খাতের সেল প্রেসারে টানা দরপতন
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের শেয়ারগুলো ইদানিং বেশি বিক্রি করছেন বিনিয়োগকারীরা। বেশি সংখ্যক শেয়ার থাকায় এ খাতের দরপতন মানেই পুরো মার্কেটের নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। টানা তিন কার্যদিবস ধরে বাজার পতনের নেপথ্যে এই ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে অত্যধিক সেল প্রেসারকেই দায়ী করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আজ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এইদিন শুরুতে উত্থান থাকলেও ২৫ মিনিট পর সেল প্রেসারে টানা নামতে থাকে। বৃহস্পতিবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আজ দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৫৩ কোটি টাকা।
আজ দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫৮১৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৫২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১৮৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৩৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ২২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৫৩ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ বুধবার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৫৮৩৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩৫৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২১৯০ পয়েন্টে। আর ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৫২৯ কোটি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএসইএক্স ৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৮৩৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩২টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু