আজ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ জুন ২০১৫, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

কৈশরের ফাঁসি যৌবনে কার্যকর

fasiশেয়ারবাজার ডেস্ক: দুটি হত্যা মামলায় কিশোর বয়সে দেয়া ফাঁসির রায় যৌবনে কার্যকর করেছে পাকিস্তানের আদালত। তবে জোর করে তাকে হত্যার দায় নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করছে দেশটির মানবাধিকার সংগঠনগুলো।আফতাব বাহাদুর নামের এ কিশোরকে বুধবার সকালে লাহোরের একটি জেলখানায় ফাঁসি দেয়া হয়। ১৯৯২ সালে দুটি হত্যা মামলায় খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী আফতাব বাহাদুরকে দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের আদালত।তার ফাঁসি কার্যকর হলে একে ‘লজ্জাজনক মৃত্যুদণ্ড’ বলে উল্লেখ করছেন সমালোচকরা। ২০০০ সালের আগে যখন তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয় তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। ২০০০ সালে তার বয়স হয় ১৮ বছর।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গ্রুপ ‘রেপ্রিভ’এর পরিচালক মায়া ফাও এমন মৃত্যুদণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, ‘পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি সত্যিকারের লজ্জাজনক দিন।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা রেপ্রিভের দাবি, যে দুইজন প্রতক্ষ্য সাক্ষীর জবানের ভিত্তিতে আফতাব বাহাদুরের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছিল পরবর্তীতে তারা তাদের আদালতের সামনে দেয়া বিবৃতি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কারণ জোরপূর্বক তাদের মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে দাবি করছে সংস্থাটি।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আফতাব বাহাদুর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে রেপ্রিভকে উদ্দেশ্য করে লেখে, ‘এইমাত্র আমার মৃত্যুর পরোয়ানা পেলাম। এতে আগামী ১০ জুন আমাকে আমৃত্যু ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমি আবারো বলবো আমি নির্দোষ।’

সে আরও লেখে, ‘আমি ১৫ বছর বয়স থেকে হত্যার দায়ভার বয়ে বেড়াচ্ছি। অনেক বছর যাবৎ জীবন এবং মৃত্যুর মাঝখানে ছিলাম আমি।’

মৃত্যুর আগে সে লেখে, ‘আশা করি বুধবারে আমি মরবো না। কিন্তু আমার কোন অর্থের উৎস নেই যে আমাকে বাঁচাতে পারে। তাই আমাকে শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যদিও ফাঁসির ক্ষণ দ্রুত এগিয়ে আসছে আমি বাঁচার আশা ছাড়ছি না।’

শেয়ারবাজারনিউজ/অ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.