বরগুনায় টিকা নিতে অনিহায় ৩ হাজার ডোজ ফেরত
জাতীয় ডেস্ক: বরগুনায় করোনার টিকা নিতে মানুষের মধ্যে অনিহা দেখা যাচ্ছে। এতে করে মেয়াদ শেষ হওয়ার আশঙ্কায় জেলার তিনটি উপজেলা থেকে প্রায় ৩ হাজার ডোজ টিকা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান আজ বুধবার সকালে টিকা ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের ন্যায় বরগুনায় টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। চাহিদার ভিত্তিতে জেলায় ২৪ হাজার ডোজ টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৩০ ডোজ, আমতলীতে ৭ হাজার ২৮০ ডোজ, পাথরঘাটায় ৪ হাজার ৪১০ ডোজ, বামনায় ২ হাজার ১৪০ ডোজ ও বেতাগী উপজেলায় ৩ হাজার ১৪০ ডোজ রয়েছে। শুধু তালতলী উপজেলায় হাসপাতালের আন্তঃবিভাগীয় সেবা বন্ধ থাকায় সেখানে টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনযায়ী, বরগুনা জেলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ২৩৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ১১ হাজার ৩৪ জন ও নারী রয়েছে ৬ হাজার ২০৫ জন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, মানুষকে সচেতন করার পরও টিকা নিতে চাচ্ছে না। মেয়াদ উত্তীর্ণের আশঙ্কায় আমতলী থেকে ২ হাজার ডোজ টিকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে টিকার সংকট নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানায়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আশঙ্কায় গত ৭ মার্চ বরগুনা থেকে ৩ হাজার ১০০ ডোজ টিকা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আমতলী ছাড়াও বেতাগী থেকে ৩৩০ ডোজ ও পাথরঘাটা উপজেলার ৭৭০ ডোজ রয়েছে।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে টিকা অব্যবহৃত থাকলে সেগুলো ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে। দেশের অনেক জায়গায় এখনও টিকার চাহিদা রয়েছে, তাই সমবণ্টনের জন্য টিকা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকার মজুদ রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান।