আজ: মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪ইং, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ এপ্রিল ২০২১, শনিবার |

kidarkar

কোভিডের মজুদকৃত টিকায় চলবে `দু সপ্তাহ’

শেয়ারবাজার ডেস্ক: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা যে হারে প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে মজুদ টিকা দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তারা বলছেন, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে কেনা টিকার পরের চালান কবে আসবে তা অনিশ্চিত। নতুন টিকা না এলে টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত রাখাতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ৭ ফেব্রুয়ারি গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬১ জন টিকা নিয়েছেন।

ভারত থেকে এ পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। সে হিসাবে এখন মজুদ আছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, এখন যে টিকা আছে তাতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেওয়া যাবে। এরই মধ্যে নতুন টিকা আনার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।

৮ এপ্রিল টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরুর পর থেকে ১৫ দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এর মধ্যে তিন দিন টিকাদান বন্ধ ছিল। ১২ দিনে মোট ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৫৮ ডোজ প্রয়োগ হয়েছে।

দৈনিক গড়ে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৯৫ জন। সে হিসেবে মজুদ ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ টিকা সাড়ে ১৩ দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে।

সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। ওই টিকা সরবরাহের দায়িত্বে আছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এলেও বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এরপর আর কেনা টিকা আর আসেনি।

এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় উপহার হিসেবে দিয়েছে মোট ৩২ লাখ ডোজ, সেগুলোও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যার মধ্যে ১২ লাখ ডোজ এসেছে গত ২৬ শে মার্চ।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.