বাজেটে ( ২০২০-২০২১) যেসব পণ্যের দাম কমবে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাঁর তৃতীয় বাজেট এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৩তম বাজেট।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে এই বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’।
এই বাজেটে কিছু পণ্যে আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট অথবা সম্পূরক শুল্ক কমানো বা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে সেসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
মুড়ি: উৎপাদন পর্যায়ে মুড়ির ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাই প্যাকেটজাত মুড়ির দাম কমতে পারে।
তাজা ফল: ব্যবসায়ী পর্যায়ে ফলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই ফলের দাম কমতে পারে।
কৃষি যন্ত্রপাতি: বাজেটে ইউডার (নিড়ানি) ও উইনোয়ারের (ঝাড়াইকল) উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। থ্রেসার মেশিন, পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, অপারেটেড সিডার, কম্বাইন হারভেস্টর, রোটারি টিলার, নিড়ানি ও ঝাড়াইকলের আমদানি পর্যায়ের আগাম কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
মাইক্রোবাস: সিসিভেদে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। হাইব্রিড গাড়ির সম্পূরক শুল্কে কমানো হয়েছে। তাই জ্বালানি বান্ধব গাড়ির দাম কমতে পারে।
আরও যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে:
স্টেইনলেস স্টিল, দেশে উৎপাদিত মোটর সাইকেল, ওয়াশিং মেশিন, কম্পিউটার, হাইব্রিড গাড়ি, স্টেইনলেস স্টিল, অপরিশোধিত-পরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেল, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার এবং প্রেসার কুকারের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
এছাড়া ডায়পার, এলপিজি সিলিন্ডার, খেলনা, সিমেন্ট, সূর্যমুখী বীজ, তুলা বীজ, প্রাণিজ তেল, পশুপাখির ওষুধ এবং উচ্চ প্রোটিন দানাদার উদ্ভিদের দাম কমতে পারে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত যে সব পণ্যের দাম কমবে সেগুলো হলো- করোনা টেস্টিং কিট, পিপিই, মাস্ক, টেফলন টিউব, সিলিকন টিউব, সুই ক্যানুলার হাবস এবং ক্যাপস।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্পিনিং মিলে ব্যবহৃত পেপার কোনের ওপর বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর প্রযোজ্য সমুদয় ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার উৎপাদনের লক্ষ্যে কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দুই বছর জন্য বাড়ানো হয়েছে।