লকডাউনের মতো কিছু হলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে: এফবিসিসিআই সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: আবার লকডাউনের মতো কিছু হয়, তাহলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে। লকডাউন না দিয়ে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। লকডাউন কোনো সমাধান নয়। এমনটাই মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব এতে উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, লকডাউন নিয়ে আমরা শঙ্কিত। পৃথিবীর কোনো দেশ লকডাউন দিয়ে সফল হয়নি। বাংলাদেশ সরকারও হয়তো লকডাউন দেবে না। লকডাউন কোনো সমাধান নয়। বরং করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
জসিম উদ্দিন জানান, করোনা মহামারিতে ১৩ থেকে ১৪ দিন গার্মেন্টস বন্ধ ছিল। এতে রফতানি আয় কমে যায়। ১০ শতাংশ শ্রমিক আর ফিরে আসেনি। যে দেশ যতবেশি লকডাউন দিয়েছে, সেই দেশের অর্থনীতি তত বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক দেশে ১০ শতাংশও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিন্তু ভালো ছিল।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা এলডিসি গ্রাজুয়েশন করতে যাচ্ছি। তবে এখানে চ্যালেঞ্জ থাকবে। তখন আমাদের ট্যাক্স সুবিধা থাকবে না। তখন ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা যদি এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর চ্যালেঞ্জগুলো বহন করতে না পারি, তাহলে অনেক পিছিয়ে যাবো। আমাদের ইনভেস্টমেন্ট গোল, গবেষণা বাড়াতে হবে। আর দক্ষ জনশক্তিতে পরিনত হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্বে আসার পর অলরেডি এলডিসি নিয়ে ৪টি ডকুমেন্ট দিয়েছি। আমাদের এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর যে চ্যালেঞ্জ আছে, তা, মোকাবেলা করতে হলে যুব-শ্রেনীকে যথাযথা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের শিক্ষিত যুবকদের কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব দূর করতে হবে। তবেই এলডিসি পরবর্তিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের ব্যাংকগুলোকে ছোট উদ্যোক্তাদের লোন দেয়ার ব্যপারে আগ্রহী করে তুলতে হবে। আমরা এফবিসিসিআইও সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। শুধু বড় বড় ব্যবসায়ীদেরকে বড় বড় লোন দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরও লোন দিয়ে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে হবে।
সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার আজকে কিছু এলাকাকে রেড জোন ও ইয়োলো জোনে বিভক্ত করে দিয়েছেন। এই জোনগুলোতে আলাদা আলদভাবে নজরদারিতে রাখা হবে। রেড জোনে কিছুটা কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। আমাদের সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসয়ীদেরও উচিত স্বাস্থবিধি মানতে সরকারের পদক্ষেপকে মূল্যায়িত করা। কেননা দেশ যদি আবারও লকডাউনে যায় তাহলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।