আজিজ পাইপ ও ফাইন ফুডসকে পরিশোধিত মূলধন ও সমন্বিত শেয়ার বাড়ানোর নির্দেশ
আতাউর রহমান: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আজিজ পাইপ ও ফাইন ফুডসকে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ধারণ ৩০% এবং পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকা করার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সাথে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কোম্পানিগুলো সেই বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি।
সম্প্রতি এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কোম্পানিটি দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি। সেই সাথে নির্দিষ্ট সময়ে চিঠির ব্যাখা চেয়ে তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে।
ফাইন ফুডসের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ফাইন ফুডস লিমিটেডের পরিচালক ও উদ্যোক্তাদের যৌথ শেয়ার ধারন বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধিত মূলধনের ৩০% পর্যন্ত বাড়াতে হবে। সেই সাথে ফাইন ফুডস লিমিটেডকে ডিএসইর মূল মার্কেটে থাকতে গেলে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়াতে হবে। সেটা কিভাবে সম্ভব কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সে বিষয়ে কমিশনের কাছে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কোম্পানিটির গত পাঁচ বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে।কোম্পানিটি ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর পর থেকে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত মাত্র দু বার নামমাত্র নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সেই সাথে গত ৩০ নভেম্বর শেয়ার ধারণ তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে মাত্র ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অপরদিকে আজিজ পাইপের চিঠিতে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি পরিচালকদের ৩০% শেয়ার ধারণ এবং পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা বাড়ানোর বিষয়ে কমিশনের কাছে একটি পরিকল্পনা জমা দেবে।
এদিকে আজিজ পাইপকে জানুয়ারির ১ম সপ্তাহের মধ্যে সিআইবি রিপোর্ট এবং কোম্পানির সুনির্দিষ্ট ও দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং কাজের পরিকল্পনার বিষয়ে কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটিতে এক বা একাধিক অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কোম্পানির স্বাধীন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
কোম্পানিটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে তালিকাভুক্ত হলেও ব্যবসার কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারেনি। সেই সাথে মাত্র দুটি হিসাব বছরে নগদে লভ্যাংশ দিয়েছে। এরমধ্যে ১% নগদ লভ্যাংশও রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। সেই সাথে গত ৩১ ডিসেম্বর শেয়ার ধারণ তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে মাত্র ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে বিষয়ে জানতে চাইলে ফাইন ফুডসের কোম্পানি সচিব সোহেল হোসেন বলেন, ‘বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। শিগগিরই তা বিএসইসিতে জমা দেওয়া হবে।’
এদিকে আজিজ পাইপসের কোম্পানি সচিব এ এইচ এম জাকারিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বিএসইসি’র কাছে সময় চেয়েছি।