ইডিএফ ঋণে অন্তর্বর্তীকালীন সুদ হার নির্ধারণ
শেয়ারবাজার ডেস্ক:রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের(ইডিএফ) ঋণে ব্যাংকগুলো যাতে অহেতুক সুদ না নেয় এবং সময়মত অর্থ ছাড় করে সেজন্য ‘অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের’ সুদহার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইডিএফের ঋণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন পাওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ের জন্য নির্ধারিত সুদের অতিরিক্ত এক শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংক।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোকে ইডিএফের ঋণে বার্ষিক অতিরিক্ত এক শতাংশ সুদ আরোপের নির্দেশনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, আমদানি বিল পরিশোধ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডিএফ থেকে পুনঃঅর্থায়ন তারিখ পর্যন্ত সময়কে ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ সময় হিসেবে ধরা হবে। এই সময়ের জন্য এক শতাংশ সুদ রপ্তানিকারকের ওপর আরোপ করা যাবে।
বর্তমানে ইডিএফ থেকে ঋণ নিয়ে উৎপাদন উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয় রপ্তানিকারকদের। এর এক শতাংশ পায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আরেক শতাংশ পায় সংশ্নিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংক। সম্প্রতি রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন উপকরণ আমদানির জন্য ইডিএফ থেকে ঋণের চাহিদা বেড়েছে। এতে ইডিএফের ওপর চাপ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সময়মত পুনঃঅর্থায়ন করতে পারছে না।
জানা গেছে, বর্তমানে দৈনিক গড়ে ১৫ থেকে ২০ কোটি ডলারের পুনঃঅর্থায়নের আবেদন আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিতভিত্তিতে এ পরিমান পুনঃঅর্থায়ন করতে পারছে না। গত পরশু আবেদনের চারদিনের মাথায় পুনঃঅর্থায়ন করা সম্ভব হয়েছে। কিছদিন আগে ব্যাংকগুলোকে ২০ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। উল্লেখ্য, ইডিএফ ৭০০ কোটি ডলারের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। এই তহবিল থেকে রপ্তানিকারকরা ঋণ নিয়ে ২৭০ দিনের মধ্যে ফেরত দেন।
এ বিষয়ে নীট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোঃ হাতেম সাংবাদিকদের জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক সময়মত পুনঃঅর্থায়ন দিতে না পারায় কোনো কোনো ব্যাংক আমদানি বিল পরিশোধের দিন থেকে পুনঃঅর্থায়ন পাওয়ার আগ পর্যন্ত সময়ের জন্য ৭ থেকে ৯ শতাংশ হারে সুদ আরোপ করে থাকে। আবার কোনো কোনো ব্যাংক মোটেই অর্থায়ন করে না। ফলে রপ্তানিকারকরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন। বাংলাদেশ ব্যাংক অন্তর্র্বতীকালীন সময়ের সুদহার নির্ধারণ করে দেওয়ায় রপ্তানি খাত উপকৃত হবে। তবে এখন অর্থায়ন নিশ্চিত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরিং থাকতে হবে।