আজ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৪ জুলাই ২০২২, সোমবার |

kidarkar

বন্যাদুর্গতদের পাশে গ্রামীণফোন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া লাখো মানুষের খাবার, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহায়তা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এ উদ্যোগের আওতায়, ইতোমধ্যে নেত্রকোনা, সিলেট ও সুনামগঞ্জে চারটি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পগুলোর মাধ্যমে এ জেলাগুলোর পাশ্ববর্তী উপজেলা সমূহে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ ও ওষুধ সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দশ দিন ব্যাপী এ উদ্যোগটি গত মাসের ২৯ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ০৮ জুলাই। এ সময়ে ছয় হাজারেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই টিমের প্রতিটি সদস্য এ অঞ্চলগুলোতে নিবেদিতভাবে কাজ করছেন। গ্রামীণফোন ও বিডিআরসিএস’র যৌথ এ উদ্যোগের মাধ্যমে ইতিমধ্যে নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, কলমাকান্দা, দক্ষিণ সুরমা, কানাইঘাট, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২১৭৩জনকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “টানা বৃষ্টিতে হঠাৎ বন্যা পরিস্থিতি দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মানষ বিপন্ন অবস্থায় পড়েছেন। এ অবস্থায় মোবাইল কানেক্টিভিটি বন্যাদুর্গতের যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। গ্রামীফোন টিম রেগুলেটর, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহীনি এবং নেটওয়ার্ক পার্টনারদের সাথে নিয়ে একসাথে জরুরী ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক পুনস্থাপনের কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি জরুরী স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য সরবারহের নিয়ে আমরা বন্যাপীড়িতের পাশে আছি। আমাদের সার্বিক সহায়তার কার্যক্রমে সহায়তার জন্য আমি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।”

মেডিকেল ক্যাম্প ছাড়াও, খুব শিগগিরই ১৫ হাজার মানুষের মাঝে ১৫ হাজার ফুড রিলিফ প্যাক বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে, যা দিয়ে প্রতিটি পরিবারের এক সপ্তাহের খাবারের জোগান নিশ্চিত হবে। এর আগে, বন্যাদুর্গত এলাকায় মোবাইল সেবার মাধ্যমে জরুরি চাহিদা মেটাতে গ্রাহকদের ১০ মিনিট ফ্রি টক-টাইম দিয়েছে গ্রামীণফোন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.