আজ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ জুলাই ২০২২, বুধবার |

kidarkar

রেকর্ড পরিমান কর দিয়েছে ডিএসই

শাহ আলম নূর: রেকর্ড পরিমান কর দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। শেয়ার লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছরে সরকারের রাজস্ব আয় ২৯০.৮৮ কোটি টাকা। যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভিনিউ (এনবিআর) এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে শেয়ারবাজার থেকে কর বাবদ ৯.১৭ শতাংশ বেশি আয় করেছে।

তথ্যানুযায়ী দেখা যায় এনবিআর ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৯০.৮৮ কোটি টাকা কর বাবদ রাজস্ব পেয়েছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২৬৬.৪৪ কোটি টাকা।

ডিএসই কর্তৃপক্ষ বলছে ২০২১-২২ অর্থবছরে পু্ঁজিবাজারে উচ্চ লেনদেন হয়েছে। যা সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে সাহায্য করেছে।

ট্র্যাক ( ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) হোল্ডারদের কমিশন, স্পনসর- ডিরেক্টর এবং প্লেসমেন্ট হোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি থেকে আয় বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট আয়ের মধ্যে ২১৮ কোটি টাকা এসেছে ট্র্যাক হোল্ডারদের কমিশন থেকে, যা ব্রোকারেজ কমিশন নামে পরিচিত, ৭২.৮৭ কোটি টাকা স্পন্সর-ডিরেক্টর এবং প্লেসমেন্ট হোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি থেকে আয় হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন থেকে মোট ২৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্পন্সর ডিরেক্টর বা প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি থেকে আরও ৮৬.২৮ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে স্টক এক্সচেঞ্জ বা ট্র্যাক কমিশন বাবদ সদস্যদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ কর ৫০.৭০ কোটি টাকা অর্জিত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে,ট্র্যাক হোল্ডারদের কমিশন এবং স্পন্সর ডিরেক্টরদের শেয়ার বিক্রির উপর যথাক্রমে ০.০৫ শতাংশ এবং ৫.০ শতাংশ হারে কর সংগ্রহ করে এবং সেই পরিমাণ সরকারি কোষাগারে জমা করে। প্রাইম শেয়ার ই-টিডিএস সিস্টেম ব্যবহার করে এনবিআর-এর ট্যাক্স জোন ১৩ এর অধীনে সরকারি কোষাগারে কর পরিশোধ করতে ইলেকট্রনিক ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স (ই-টিডিএস) সিস্টেমের মাধ্যমে জমা করেছে।

উল্লেখ,২০১১-১২ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয় ছিল ২৭২ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ছিল ১২৭ কোটি টাকা, ২০২৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ১৫৪ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ১৭৪ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ১৫৮ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ২৪৬ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ২৩৩ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ২৫১ কোটি টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ১০৪ কোটি টাকা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.