আবারও ঝিমিয়ে পড়েছে বাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের উভয় শেয়া্রবাজারে সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন করা ৫ কার্যদিবসে লেনদেন কমেছে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয়ই কমেছে। ফলে আবারও ঝিমিয়ে পড়েছে বাজার।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৫ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৬ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩১৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৪ টির, কমেছে ২৩৬ টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর। আর লেনদেন হয়নি ৩টি কোম্পানির শেয়ার।
আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৮৮ কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৭১ টাকার শেয়ার। এ হিসাবে আলোচিত সপ্তাহে ঢাকার বাজারে লেনদেন কমেছে ২০৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৫৫ টাকা বা ১৫.৭৯ শতাংশ।
আলোচিত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১.৫৪ শতাংশ বা ৭৩.৯১ পয়েন্ট। ডিএস৩০ সূচক কমেছে ১.৭৫ শতাংশ বা ৩১.০৫ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ১.৮২ শতাংশ বা ২০.৬৪ পয়েন্টে।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী ডিএসইতে গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন ছিল লেনদেনের মধ্যে ৭৬.০১ শতাংশ ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ছিল ৫.১২ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ছিল ১৪.৪৫ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির ছিল ৪.৪২ শতাংশ।
অন্যদিকে সিএসইতে আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৪ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৪২ লাখ ২৩ হাজার ৬০২ টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১২৯ কোটি ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৫৬ টাকার শেয়ার।
গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫২ টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯ টির।
লেনদেনের সঙ্গে কমেছে সব ধরনের সূচক। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২.০৫ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে ১.৬৪ শতাংশ।
শেয়ারবাজার/অ