সব সূচকেই পিছিয়ে ডিএসই
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সার্ক ও আঞ্চলিক দেশগুলোর প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর তুলনায় পিছিয়ে আছে দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা (ডিএসই)। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে ডিএসই’র অবদান আঞ্চলিক অন্যান্য দেশের স্টক এক্সচেঞ্জের তুলনায় অনেক কম। এমনকি অন্যান্য দেশের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর তুলনায় ডিএসই’তে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যাও কম।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সার্কভুক্ত স্টক এক্সচেঞ্জেগুলোর মধ্যে কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ২৯৪টি, করাচিতে ৫৫৪টি এবং বোম্বেতে ৫ হাজার ৮৩৬টি। সেখানে অর্থনীতির পরিধি বড় হওয়া সত্ত্বেও ডিএসই’তে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা মাত্র ২৮৭টি। অন্যদিকে, আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ফিলিপাইনের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ডিএসই’র তুলনায় কম। ফিলিপাইনে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রয়েছে ২৬৫টি। এছাড়া মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা যথাক্রমে ৯০২, ৭৬৯ ও ৬৩৯টি।
এদিকে, দেশের মোট আভ্যন্তরিন উৎপাদনে (জিডিপি) দেশের শেয়ারবাজারের অবদান আঞ্চলিক যেকোনো দেশের তুলনায় কম। বেশকিছু অর্থবছর থেকেই এ ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকলেও পরিস্থিতির উন্নয়নে স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ সফল হতে পারেনি।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যেখানে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের অবদান ৬৯.৪৭ শতাংশ, করাচির ২৪.৭৪ শতাংশ ও কলম্বোর ২৬.১৬ শতাংশ; সেখানে ডিএসই’র অবদান মাত্র ২০.৮৮ শতাংশ। অর্থনীতির আকারের বিবেচনায় তুলনাযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইন (৭৯.৭৯ শতাংশ), মালয়েশিয়া (১২২.১৭ শতাংশ) বা থাইল্যান্ডের (৯৩.৩৮ শতাংশ) তুলনায় ডিএসই’র অবদান আরো নগন্য। এমনকি এসব স্টক এক্সচেঞ্জের তুলনায় সূচকের হিসাবেও অনেক পিছিয়ে আছে ডিএসই। ডিএসই’র তুলনায় তালিতাভুক্ত কোম্পানির তুলনায় পিছিয়ে থাকা ফিলিপাইন স্টক এক্সচেঞ্জই ২০১৫ অর্থবছর শেষ করেছে ডিএসই’র তুলনায় ২ হাজার ২০০ পয়েন্ট বেশি দিয়ে, এ স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক গড়ে ৭ হাজারের আশেপাশে থাকে। এছাড়া করাচি ও বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক যেখানে গড়পড়তা ৩২ হাজার ও ২৭ হাজারের আশেপাশে থাকে সেখানে ডিএসই’র গড়পড়তা সার্বিক সূচক মাত্র ৪ হাজার ৫শ’র কাছে থাকে। এমনকি বাজার মূলধনের হিসাবে ডিএসই’র তুলনায় অর্ধেকে থাকা কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জের গড়পড়তা সূচকের পরিমান ৬ হাজার ৮শ’র কাছাকাছি।
শেয়ারবাজারনিউজ/ওহ