উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করছে প্রিমিয়ার সিমেন্ট
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি প্রিমিয়ার সিমেন্ট উৎপাদনক্ষমতা দ্বিগুণ করছে। এ জন্য বড় ধরনের সম্প্রসারণে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রিমিয়ার সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বড় ধরনের এ সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির দৈনিক উৎপাদনক্ষমতা আট হাজার মেট্রিক টন। সম্প্রসারণের পর এ উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে দৈনিক ১৬ হাজার মেট্রিক টন।
প্রকল্প ব্যয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে ২০৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হবে মেশিনারিজ কেনার জন্য এবং বাকী ১৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে।
২০১৩ সালে প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানিটি দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১২ টাকা অধিমূল্য বা প্রিমিয়াম যোগ করে প্রতিটি শেয়ারের বিক্রয়মূল্য ছিল ২২ টাকা।
উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ করা ও নতুন সম্প্রসারণের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, নতুন সম্প্রসারণ প্রকল্পটি হবে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও পরিবেশবান্ধব। ২০১৮ সাল নাগাদ এ সম্প্রসারণ প্রকল্প শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪০০ কোটি টাকা। ব্যাংকঋণ ও নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছর সিমেন্টের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রবৃদ্ধি ছিল ২২ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। দেশের ক্রমবর্ধমান এ বাজারে নিজেদের শক্ত ভিত তৈরির লক্ষ্যে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন প্রকল্পে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তাতে উৎপাদন খরচও কমবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩১ মের সর্বশেষ হিসাবে প্রিমিয়ার সিমেন্টের মোট শেয়ারের মধ্যে ৮৬ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। বাকি ১৪ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। গতকাল রোববার দিন শেষে বাজারে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ১ টাকা ২০ পয়সা বা সোয়া এক শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকায়।
কোম্পানিটির আর্থিক বছরের হিসাব করা হয় জুলাই-জুন ভিত্তিতে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে সমাপ্ত আর্থিক বছরে কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। চলতি বছরের জুনে আরেকটি আর্থিক বছর শেষ হলেও এখনো কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়নি।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ