আজ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩১ জুলাই ২০১৬, রবিবার |

kidarkar

বিও হিসাব ফি ৪৫০ টাকা হচ্ছে

cdbl-boশেয়ারবাজার রিপোর্ট: স্টেক হোল্ডারদের চাপে পুরনো বিও হিসাবের বার্ষিক নবায়ন ফি ৫০ টাকা কমিয়ে ৪৫০ টাকায় নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে নতুন বিও হিসাব খোলার ফিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

বর্তমানে নতুন বিও হিসাব খোলা ও বার্ষিক নবায়ন ফি ৫০০ টাকা। এ জন্য ডিপজিটরি প্রবিধানমালা (ব্যবহারিক) সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আইন অনুযায়ী সংশোধন প্রস্তাবটি এরই মধ্যে জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়া শেয়ারবাজারের মাধ্যমে বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচার সুযোগ তৈরির অংশ হিসেবে এর লেনদেনে সিডিবিএল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেনে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ), সরকারি সিকিউরিটিজ (যেমন ট্রেজারি বন্ড), স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য প্রস্তাবিত বাজারে লেনদেনের ফিও নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধিত প্রবিধানমালায়।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ডিপজিটরি কোম্পানির (সিডিবিএল) ফি বেশি বলে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা আপত্তি জানিয়ে আসছেন। এ জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিডিবিএলের বেশ কিছু ফি নতুন করে নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্ট প্রবিধানমালা (রেগুলেশনস) সংশোধন প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি জনমত যাচাইয়ের জন্য বিএসইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। আজ মতামত পাঠানোর শেষ দিন।

নতুন সংশোধন প্রস্তাবে বিও হিসাব নবায়ন ফির ৪৫০ টাকার মধ্যে সরকারের ২০০ টাকা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ৫০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শুধু সিডিবিএলের ফি ৫০ টাকা কমিয়ে ১০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্ট (ডিপি) ফি ১০০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

সংশোধন প্রস্তাবে শেয়ার কেনাবেচায় প্রতি লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচায় সিডিবিএল ফি বর্তমানের সর্বোচ্চ ২৫ টাকার স্থলে সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও সিডিবিএল প্রতি লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচায় ১৫ টাকা নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মেয়াদি ও বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড, প্রস্তাবিত স্বল্প মূলধনী কোম্পানির বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচায় এ ফি আরও কম করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ছাড়া ট্রেজারি বন্ড কেনাবেচাকে উৎসাহিত করতে লেনদেন করা বন্ডের মোট বাজার মূল্য যাই হোক না কেন, প্রতি লেনদেনে সিডিবিএল ফি সর্বোচ্চ ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে শেয়ারের মতো লেনদেন করা সিকিউরিটিজের বাজার মূল্যের ওপর প্রতি লাখে ২৫ টাকা সিডিবিএল ফি নির্ধারণ করা ছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আশা করছে, এ সংশোধন কার্যকর হলে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে ট্রেজারি বন্ডের কেনাবেচা শুরু হবে। বর্তমানে ডিএসইতে বিভিন্ন মেয়াদি ২২১টি ট্রেজারি বন্ড তালিকাভুক্ত হলেও কখনোই তা শেয়ারবাজারের মাধ্যমে কেনাবেচা হয়নি।

সিডিবিএল ফি সংশোধনের প্রস্তাবে আইপিও প্রক্রিয়ায় আসা নতুন কোম্পানির ক্ষেত্রেও ফি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি লাখ টাকায় (আইপিও ইস্যু মূল্যে) সিডিবিএল ফি ২৫ টাকা, যা প্রতি লাখে ১৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া শেয়ার ধারণ-সংক্রান্ত তথ্য পেতে প্রতি পাতার (প্রিন্ট কপি) জন্য ৫ টাকা ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সফট কপি বিনামূল্যে প্রদানের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে প্রিন্ট বা সফট কপির ক্ষেত্রে প্রতি পাতার জন্য ১০ টাকা হারে ফি দিতে হয়। নতুন সংশোধন প্রস্তাবে ডিমেট করা শেয়ারকে পুনরায় কাগুজে শেয়ারে রূপান্তরে প্রতিটি শেয়ার বা সিকিউরিটিজের জন্য ১০০ টাকা হারে ফি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ডকুমেন্টেশন ফি আগের আড়াই হাজার টাকাও অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/আ

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.