আজ: বুধবার, ০১ মে ২০২৪ইং, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ নভেম্বর ২০১৬, বুধবার |

kidarkar

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের কাছে হেরে গেল আইডিআরএ

Standerd Iinsuranceশেয়ারবাজার রিপোর্ট: আইডিআরএ বনাম স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লড়াইয়ে অবশেষে পরাজিত হয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে লাইসেন্স ফিরে পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স। ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর বীমা নিয়ন্ত্রক আইডিআরএ কোম্পানিটির লাইসেন্স বাতিলের পর সরকারের কাছে লাইসেন্স ফিরে পেতে আবেদন জানায় স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রনালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কোম্পানিটির লাইসেন্স পুনরায় প্রদান করে। গতকালও আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে এ কোম্পানির লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়া হয়।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানিটির সঙ্গে অসংখ্য বিনিয়োগকারী ও বীমাগ্রহীতার ভাগ্য জড়িয়ে রয়েছে। সে বিয়টি চিন্তা করে সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের স্থগিত লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়া হয়।

এর আগে, পুন:বীমা সংক্রান্ত ব্যাপক অনিয়মের কারণে গত বছরের ২১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স স্থগিত করে আইডিআরএ। পরে কোম্পানি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আইডিআরএর নির্দেশনা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন আদালত। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় আইডিআরএ। পরে চেম্বার বিচারপতি শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। আর বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। গত ৩০ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে আইডিআরএর সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেন আপিল বিভাগ।

এদিকে, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লাইসেন্স বাতিল হলেও যথারীতি লেনদেন চালু রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির। তবে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ হিসাব বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি। তাই ডিভিডেন্ডের ঘোষণাও আসেনি। যদিও কোম্পানিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে হিসাব জমা দেয়ার সময় বাড়িয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স। ২৯ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৯৫ লাখ ৭২ হাজার ১৫৭। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৫২.৪ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৭.৫৭ শতাংশ শেয়ার। অবশিষ্ট ১০.০৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে।

শেয়ারবাজারনিউজ/ম.সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.