ক্ষতিগ্রস্তদের আইপিও কোটার মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী হিসেবে নতুন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে বিশেষ কোটা প্রাপ্তির সুযোগ ছয় মাস বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ এক চিঠির মাধ্যমে বিএসইসি-কে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়।
চলতি বছরের ৩০ জুন ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ শতাংশ আইপিও কোটার মেয়াদ শেষ হবে। এর প্রেক্ষিতে কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোটার মেয়াদ ছয় মাস বাড়ালো অর্থমন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বিএসইসি’র মূখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো: সাইফুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজ ডটকমকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ শতাংশ আইপিও কোটার মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমরা চিঠি পেয়েছি।
দেশের পুঁজিবাজারে আইপিও’র শেয়ারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর আইপিও’র শেয়ার বাজারে আসা মাত্র উচ্চ মূল্যে লেনদেন হচ্ছে। তাই এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পোষানোর সুযোগ রয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের লোকসান সমন্বয়ের কথা চিন্তা করে ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে চালু হওয়া আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা প্রাপ্তির সুযোগের সময়সীমা বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করে অর্থমন্ত্রণালয়।
দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এখনো তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তাই বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী কোটা সুবিধার মেয়াদ আবারো বাড়ানো উচিত বলে মনে করছে বিএসইসি। তাই এর মেয়াদ আরো বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে বিএসইসি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধসে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের মুখে পুঁজিবাজারের বড় ধরনের সংস্কার করে সরকার। এর মধ্যে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটায় আবেদন করার জন্য ১৮ মাস অর্থাৎ ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের লোকসান সমন্বয়ের কথা চিন্তা করে কোটা বরাদ্দের সময়সীমা দুই দফা বাড়িয়ে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
শেয়ারবাজারনিউজ/আ