সুখবর দিয়ে শুরু হচ্ছে চলতি সপ্তাহের বাজার
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সম্প্রতি নেগেটিভ ইক্যুইটির বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ছিলো। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেই আশঙ্কাকে দূর করে বিনিয়োগকারীদের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। তাই আগামীকাল সুখবর দিয়েই চলতি সপ্তাহের বাজার শুরু হচ্ছে।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহের ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ২ দিনই কমেছে সূচক। আর পতনের মাত্রা ছিলো অত্যাধিক। তাই গত সপ্তাহে (১৩-১৭ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচক কমেছে। যার পরিপেক্ষিতে সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সব ধরনের সূচকের পাশাপাশি লেনদেনের পারিমাণও কমেছে। ফলে ডিএসই সূচক ৬ হাজারের কাছাকাছি গিয়ে আবার নিম্নমুখী হয়। পাশাপাশি গত সপ্তাহে এমন ভীতির পেছনে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ঋণাত্মক মূলধনধারী (Negative Equity) বিনিয়োগ হিসাবে শেয়ার কেনা-বেচার সময়সীমার বিষয়টি কাজ করেছে। ফলশ্রুতিতে বাজার কিছুটা নিম্নমুখী ছিল।তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে বাজার অনেক ইতিবাচক মনে হচ্ছে। এখন ৬ হাজার পয়েন্টের ‘মনস্তাত্ত্বিক সীমা’ পার করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কেননা আরও এক বছর লেনদেনের সময় পেল পুঁজিবাজারের ঋণাত্মক মূলধনধারী (Negative Equity) বিনিয়োগ হিসাবগুলো। শেয়ার কেনা-বেচার প্রান্তিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শর্তে ১ বছর ৩ মাস সময় বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা বাজারের স্বচ্ছতা আরও বাড়াবে। পাশাপাশি ওই সমস্ত বিনিয়োগকারীরাও বাজারে তাদের অংশগ্রহণ আরও বাড়াবে বলেও মনে করছেন ওই বিশ্লেষকরা।
সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সমাপ্ত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্য সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেন। সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৪০.৬৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৭৮ শতাংশ বা ১৬.৬২ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরিয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ১০.৩৬ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার।
আর গত সপ্তাহে ৩ কার্যদিবসে ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার। যা এর আগের সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ছিল ৪ হাজার ৮৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার। ৫ কার্যদিবস হিসাবে তুলনা করলে দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৮০২ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ১৬.৪৩ শতাংশ।
এদিকে, সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে দশমিক ৫৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৭৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির। এগুলোর ওপর ভর করে বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার। যদিও আগের সপ্তাহে বাজারটিতে মোট ২৯৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু