রূপচর্চায় ফ্রুট ফেসিয়াল মাস্ক!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ত্বকের সতেজতায় ফেসিয়ালএর কোনও জুড়ি নেই। ফ্রুট ফেসিয়ালের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে অন্য সব ফেসিয়ালের চেয়ে অনেক কম সময়ে করা যায় এবং এর কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। বাসায় বসে মৌসুমি ফল দিয়ে ফেসিয়াল করে ত্বকের লাবণ্য ও সজীবতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। ত্বকের সতেজতায় ফ্রুট ফেসিয়ালফ্রুট ফেসিয়ালের জন্য আপনি আপনার ত্বকের সাথে মানানসই কিছু ফল পছন্দ করতে পারেন। তবে কিছু কিছু ফল আছে যা সব ধরনের ত্বকেই বেশ মানিয়ে যায় যেমনঃ তরমুজ, স্ট্রবেরী, পাকা পেপে, কলা, শসা ইত্যাদি।
সাধারণত ফ্রুট ফেসিয়াল সপ্তাহে ১ দিন করা যায়। আপনি চাইলে মাস্ক আগে বানিয়ে ফ্রীজে রেখে দিতে পারেন। ফ্রুট মাস্কগুলো ফ্রীজে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। জেনে নিন ফ্রুট ফেসিয়ালের কয়েকটি পদ্ধতি।
– টমেটোর মাস্কঃ
টমেটোর মাস্কটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। যাদের ত্বকে রোদে পোড়া দাগ আছে তারা এটি ব্যাবহার করতে পারেন। একটা পাকা টোমেটো কেটে ভালোভাবে ব্লেন্ড করতে হবে। তারপর জেলোটা দিয়ে প্রথমে মুখ ঘষে নিতে হবে। এখন ব্লেন্ড করা অংশটা মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। ফলে ত্বকের মৃত কোষ গুলো বের হয়ে যাবে এবং ত্বক অনেক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
– স্ট্রবেরীর মাস্কঃ
স্ট্রবেরী ফলটি সারা বছর কম বেশী পাওয়া যায়। এই ফল খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনি রূপচর্চায়ও এর বিশেষ ভূমিকা আছে। দুই টা স্ট্রবেরী ভালোভাবে পেষ্ট করে নিন। এখন পেস্টটা সম্পূর্ন মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এখন কুমুম গরম পানি দিয়ে আলতো করে ঘষে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল এবং দাগমুক্ত হবে।
– তরমুজের মাস্কঃ
একটা তরমুজ নিয়ে চামচ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এর সাথে আধা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। আবার ম্যাস্কটি আপনার সম্পুর্ন মুখে লাগিয়ে নিন। যদি মিশ্রণটি খুব বেশী পাতলা হইয়ে যায় তাহলে এর উপর একটি পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। এবার ২০ মিনিট পর কাপড়টি আলতো করে টেলে তুলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এর ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না।
– পাকা আমের মাস্কঃ
যাদের ত্বক অনেক সেন্সিটিভ তাদের জন্য পাকা আমের মাস্ক অনেক উপকারী একটা উপকরন। একটা পাকা আম ভালোভাবে চটকে মুখে লাগিয়ে নিন। এবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু