আজ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৯ অক্টোবর ২০১৭, রবিবার |

kidarkar

রাইটের টাকা ব্যবহারে নতুন পরিকল্পনা করছে সাইফ পাওয়ারটেক

saif powerশেয়ারবাজার রিপোর্ট: সাইফ পাওয়ারটেকের রাইট ইস্যুর ৮ মাসের মাথায় কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংক ঋণ ও রাইট ইস্যু প্রক্রিয়ার খরচ শেষে ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে। এ অর্থে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির পরিকল্পনা করেছে কোম্পানির পর্ষদ। এজন্য অর্থ ব্যবহারে নতুন করে পরিকল্পনা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

তবে পরিকল্পনায় কি পরিবর্তন আনা হবে তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা, কোম্পানির কর্তৃপক্ষ নতুন ব্যবসার শুরু করার আভাস মিলেছে। তবে কি ধরণের ব্যবসা তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে সাইফ পাওয়ারটেকের কোম্পানি সচিব এফ এম সালেহীন জানান, রাইটের টাকা থেকে ৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধের কথা ছিল। তবে নিয়মিত ঋণ পরিশোধের আওতায় এর মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা রাইটের অর্থ হাতে পাওয়ার আগেই পরিশোধ করা হয়ে যায়। এতে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ বাবদ রাইটের অর্থ থেকে প্রকৃতপক্ষে খরচ হয়েছে ৫৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

তাছাড়া রাইট শেয়ার ইস্যুর খরচ বাবদ ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এ খাতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ফলে দুই খাতে উদ্বৃত্ত থাকা ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পর্ষদ। এজন্য রাইটের অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনা সংশোধন করতে চায় কোম্পানি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৭৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সংগ্রহ করে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। ব্যাংক ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে এসব টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে।

জানা গেছে, রাইটের অর্থ ব্যয়ের জন্য ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। এরই মধ্যে ব্যাংক ঋণ ও রাইটের খরচ বাবদ শতভাগ অর্থ ব্যয় হয়েছে। তবে যন্ত্রপাতি ও ব্যাটারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ এখনো পুরোপুরি ব্যয় করেনি কোম্পানিটি।

উল্লেখ্য, এর আগে ৫৯৫তম কমিশন সভায় সাইফ পাওয়ারটেকের রাইট প্রস্তাব অনুমোদন করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ১৫ টাকা দরে (শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ) বিদ্যমান প্রতিটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করে সাইফ পাওয়ারটেক।

এ প্রক্রিয়ায় ১১ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৩৪৮টি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ২২০ টাকা উত্তোলন করে কোম্পানিটি। এ অর্থে ব্যাংক ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ব্যবসা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূলত তাদের চলমান ব্যাটারি প্রকল্পের কলেবর বাড়ানো এবং মেশিনারিজ আমদানি করছে সাইফ পাওয়ারটেক।

এদিকে, চলতি বছরের ৫ আগস্ট থেকে গাজীপুরের পূবাইলে অবস্থিত সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যাটারি প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.