সাপ্তাহিক বাজার: ৫৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছেন বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন। তবে সিএসইতে সূচক কমলেও লেনদেনে পরিমান আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৩দিনই কমেছে সূচক। বাকি দুই কার্যদিবস বাড়লেও এর মাত্রা ছিলো সামান্য। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের উভয় শেয়ারবাজারে প্রায় সব ধরনের সূচক কমেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি ৫৫.৮৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫০৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৫ টাকা। পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৩২৬ কোটি ৬২ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৮ টাকা।
সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ০.৫১ শতাংশ বা ২৯.৬৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১.৪৭ শতাংশ বা ৩২.৩৬ পয়েন্ট। অপরদিকে শরীয়াহ বা ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১.৬১ শতাংশ বা ২১.৯৪ পয়েন্ট। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৪২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। আর লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ২ হাজার ৫০৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৫ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৫৭৪ কোটি ৫৯ লাখ ৪১ হাজার ৫০ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২.৬৮ শতাংশ।
আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯০.৬৯ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৫.৩৪ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২.৮৬ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১.১২ শতাংশ।
সপ্তাহশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৪৯.০১ পয়েন্ট বা ০.৪৫ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাত বদল হওয়ার ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ১৬৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দর। এগুলোর ওপর ভর করে বিদায়ী সপ্তাহে ৩২৬ কোটি ৬২ লাখ ২৯ হাজার ৯৫৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু