আজ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ মে ২০১৫, রবিবার |

kidarkar

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ২.০৩ শতাংশ কমেছে : রোববার থেকে কার্যকর

মুহিতশেয়ারবাজার রিপোর্ট :  আগামী ৫ বছরের জন্য সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ২.০৩ শতাংশ কমানো হয়েছে। এক্ষেত্রে এ সুদের হার ১৩.১৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১.১৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আজ থেকেই এই সুদের হার কার্যকর করা হবে।

রোববার  বিকেলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেট’ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ কথা জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী প্রমুখ।

উল্লেখ্য,পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রে সুদ বা মুনাফা ছিল ১৩.৪৫ শতাংশ। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১৩.১৯ শতাংশ, বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১৩.১৯ শতাংশ ও তিন বছর মেয়াদি তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১২.৫৯ শতাংশ সুদ দেওয়া হত। আর তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় ও ব্যাংক মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের সুদহার ছিল ১৩.২৪ শতাংশ।চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে পরিবার সঞ্চয়পত্র। আট মাসে এর নিট বিক্রি দাঁড়ায় ৮ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। বিক্রির শীর্ষে থাকা তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের বিক্রি দাঁড়ায় ৫ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ১ হাজার ৯৭০ কোটি, পোস্ট অফিসের মেয়াদি সঞ্চয়পত্র ১ হাজার ৪০৪ কোটি এবং ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ২৫৯ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) মোট ২৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এই সময়ে আগে কেনা সঞ্চয়পত্রের আসল-সুদ বাবদ ৮ হাজার ২৫০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে সরকার।

ফলে সঞ্চয়কারীদের নিট বিনিয়োগ অর্থাৎ সরকারের এ খাতে ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২০০ ভাগ বেশি।

রোববার অর্থমন্ত্রী মৎস্য ও পশুখাত বিষয়ে বলেন, এটি একটি মন্দায় আক্রান্ত খাত। এর কোনো অগ্রগতি বা অবনতি নেই। আমি মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার সময় গরুর মাংসের উৎপাদন এর চাহিদার ২০ শতাংশ ছিল। এখনও তাই আছে। গরু, মহিষ, ছাগল কোনো খাতেই উন্নতি নেই। তবে আমি এবার এ খাতের উন্নতি করবই।

আবাদি জমি নষ্ট করে নতুন কোনো রাস্তা করা হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তবে যে সব মাটির রাস্তা আছে, সেগুলোকে পাকা করা হবে। এবং ভাঙা রাস্তার সংস্কার করা হবে।

বেসরকারি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তির বিষয়ে মুহিত বলেন, এমপিও পদ্ধতির সংস্কার করা হবে। বর্তমান পদ্ধতিতে শিক্ষকরা বেতন পেলেও প্রতিষ্ঠানের কোনো উন্নতি-অগ্রগতি হচ্ছে না। বেসরকারি স্কুল-কলেজের উন্নতিকল্পে এ সংস্কার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় সংসদের অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, পরিকল্পনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এ সভায় অংশ নেয়।

সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, করের হার কমানো হবে। কারণ হার কমালে জনগণ কর দিতে উৎসাহী হবে। তবে সরকারি ব্যয় মেটাতে করের আওতা বাড়ানো হবে।

শেয়ারবাজারনিউজ/সা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.