২০০ উইকেটের অনন্য মাইলফলকে সাকিব
শেয়ারবাজার ডেস্ক: দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই জোড়া আঘাত হানলেন সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার কাইরন পাওয়লেকে আউট করে এরই মধ্যে টেস্টে নিজের ৩০০০ রান ২০০ উইকেট প্রাপ্তির অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেন দেশসেরা অলরাউন্ডার। এরপর শাই হোপকে ৩ রানে আউট করেন তিনি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১ রান। প্রথম ইনিংসেও ৩টি উইকেট পেয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। মাইলফলক স্পর্শের দিনে বাংলাদেশের জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন সাকিব।
এর আগে খুব বড় হয়নি বাংলাদেশের লিড। মরণফাঁদ হয়ে ওঠা পিচে উইকেট পড়েছে নিয়মিত বিরতিতে। সেই অর্থে কোনো বড় জুটি দেখা যায়নি পুরো ইনিংসে। আগের দিনের ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ তৃতীয় দিনে অলআউট হয়েছে ১২৫ রানে। এর ফলে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ২০৪ রান।
তৃতীয় দিনে উইকেট না হারিয়ে স্কোর বাড়ানোই ছিল বাংলাদেশের লক্ষ্য। কিন্তু দিনের শুরুতেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে হোঁচট খায় টাইগাররা। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের সুইং ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। আগের দিনের ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ নিজেদের ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় ৬৯ রানে।
মুশফিকের বিদায়ে ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মিরাজের সাথে বড় জুটি গড়াই ছিল লক্ষ্য। দেখে শুনে ভালোই খেলছিলেন দুজন। দলীয় ১০৬ রানের মিরাজ আউট হন দেবেন্দ্র বিশুর বলে। ১৮ রান করেন তিনি। এরপর নাইম হাসানের সাথে আরেকটি ছোট জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ। ১২২ রানে বিশুর আরেকটি শিকারে পরিণত হন ৫ রান করা নাইম।
এরপর বাকি তিন উইকেট পড়তে সময় লাগেনি মোটেও। বিশুর ঘূর্ণিতে মাহমুদুল্লাহ আউট হন ৩১ রান করে। মোস্তাফিজ ও তাইজুলও পারেননি কিছু রান যোগ করতে। ফলে ১২৫ রানেই থেমে যায় টাইগারদের দ্বিতীয ইনিংস। ২০৩ রানের লিড নেয়ার পর টাইগাররা মাঠে নেমেছে ক্যারিবীয়দের বেঁধে ফেলতে। দেখার বিষয় এটাই যে, এই রানে চতুর্থ ইনিংসে ক্রেইগ বাফেটের দলকে বেঁধে ফেলা যায় কীনা। রানটা অন্তত ২৫০ হলে, টাইগররা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকত। এই রান যথেষ্ট হয় কীনা, সেটাই এখন প্রশ্ন। চট্টগ্রামের উইকেট তৃতীয় দিনে রান করার জন্য খুব একটা সহায়ক হবেনা মোটেও।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু