আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার |

kidarkar

ইভিএমে ভোট দেবেন ২১ লাখ ভোটার

শেয়ারবাজার ডেস্ক: একাদশ সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে সোয়া ২১ লাখ ভোটার ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এ যন্ত্র নিয়ে আধিকাংশ দল বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটে ইভিএম রাখল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনের ৯০০টি কেন্দ্রের প্রায় ৪২৬৭টি ভোটকক্ষে ইভিএমে ভোট হবে। প্রথমে ইসির পছন্দের তালিকায় ছিল ৪৮টি আসন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭টি আসন, দক্ষিণ ৭টি আসন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩টি আসন এবং অন্য সিটি করপোরেশন এলাকার ১০টি আসন এবং জেলা পর্য্যায়ের সদর উপজেলার ২১টি আসন ছিল ।এখান থেকে ৬টি আসন ‘লটারিতে’ নির্ধারণ করে বাছাই করা হয়।

এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ১টি, দক্ষিণ সিটির ১টি, চট্টগ্রাম সিটির ১টি, অন্য সিটির ২টি এবং সদর উপজেলা থেকে ১টি আসন রয়েছে।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এরমধ্যে মাত্র ৬টি আসন খুবই নগন্য। পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম শহরাঞ্চলে ব্যবহার করা হবে। ইসির সিনিয়র মেনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ হোসেন দ্বৈচয়ন পদ্ধতির আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন। কম্পিউটার প্রেগামের মাধ্যমে এ কর্মকর্তাই ৬টি আসন বাছাই করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ইভিএম এই ছয়টি আসনে দেয়ার মতো আমাদের সকল প্রস্তুতি আছে । আগামী ৩০ তারিখের মধ্য আমাদের চাহিদা অনুয়ায়ি সকল ইভিএম আমরা পেয়ে যাবো। আমাদের বেজমেন্টে ( ইসি ভবন) বসে প্রস্তুতি নেয়া হবে। সকল ধরনের ঢাটাবেজ ইমপুট করা হবে। সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের কর্মকর্তারা যারা আছে আমাদের যারা টেকনিক্যাল পারসান আছে এইক সঙ্গে যারা নির্বাচন কর্মরতা আছে সকলে মিলেই এ কাজটা করবে। এইয় সঙ্গে আমরা কনসার্ন যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হবে ওই এলাকায় পোলিং অফিসারদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ইতোমধ্যেই জেলা উপজেলা পর্যায়ে সকল কর্মকর্তাকে ইভিএম সংক্রান্ত আমরা প্রশিক্ষণ শেষ করেছি।

ইসি কর্মকর্তরা জানান, সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১% সমর্থন তালিকার মধ্যে যে পদ্ধতিতে (রেনডম বেসিস) স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই করা হয়; একই পদ্ধতিতেই ইভিএমের কেন্দ্র বাছাই করা হয়েছে। এবার সাড়ে ৪ হাজারের মতো ইভিএমের প্রয়োজন পড়তে পারে।

ইতোমধ্যে কমিশন জানিয়েছে, আসন প্রতি ১৫০ কেন্দ্র বিবেচনায় ৬টি আসনে ৯০০টি কেন্দ্র ইভিএম হতে পারে। ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে এসব কেন্দ্রের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রতিটিকেন্দ্রে গড়ে ৫টি ভোটকক্ষ থাকে। ইভিএমের জন্য ৪০০-৫০০ ভোটারের জন্য প্রতি ভোটকক্ষে একটি ইভিএম রাখা হবে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, ইভিএমর প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে ইভিএম থাকবে; কোনো ধরনের ত্রুটি দেখা গেলে ‘স্ট্যান্ডবাই’ থাকবে তিনটি করে ইভিএম। ভোটের জন্য কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার ইভিএম লাগবে। এর দ্বিগুণের বেশি প্রস্তুতি রাখা হবে জরুরি প্রয়োজনে।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: ৯০০টি কেন্দ্রে প্রায় ৪২৬৭টি ভোট কক্ষ। আসন গুলো হচ্ছে, রংপুর-৩ ভোটকেন্দ্র ১৩০, ভোটকক্ষ ৯১০; খুলনা-২ ভোটকেন্দ্র ১৫৭, ভোটকক্ষ ৬৮২; সাতক্ষীরা-২ ভোটকেন্দ্র ১৩৭, ভোটকক্ষ ৬৯৮; চট্টগ্রাম-৯ ভোটকেন্দ্র ১৪৪, ভোটকক্ষ ৭৪৩; ঢাকা-৬ ভোটকেন্দ্র ৯৮, ভোটকক্ষ ৫৩৩; এবং ঢাকা-১৩ ভোটকেন্দ্র ১৩৪, ভোটকক্ষ ৭০১।

ইভিএমের আসনে বর্তমান সাংসদ আ’লীগ ৩, জাপা ৩ । ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-৬ আসনে জাপার কাজী ফিরোজ রশীদ, রংপুর-৩ আসনে জাপার রওশন এরশাদ, চট্টগ্রাম-৯ আসনে জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দন আহমেদ বাবলু, সাতক্ষীরা-২ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.