খোঁজ মিলেছে অমর প্রাণীর!
শেয়ারবাজার ডেস্ক: ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে’। কিন্তু তারপরেও অমরত্বের পেছনে ছুটছে মানুষ। তবে, মানুষ এখনও এ বিষয়ে তেমন কোন সফলতা না পেলেও প্রাণীবিজ্ঞানীরা দিয়েছেন বিস্ময়কর এক তথ্য।
সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রাণীবিজ্ঞানীরা বলছেন, পুরোপুরি না পারলেও প্রায় অমরত্ব লাভ করেছে ছোট্ট এক সামুদ্রিক প্রাণী।
এ প্রাণীটির নাম ব্যাকওয়ার্ড এজিং জেলিফিশ। প্রাণীবিদরা একে টারিটোপসিস ডোরনি (Turritopsis dohrnii) বলে ডাকেন।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বার্ধক্যে উপণিত হলে জেলিফিশেরা বার্ধক্যের উল্টো দিকে ধাবিত হয়ে অমর হয়ে থাকলেও যে কোনো দুঘর্টনায় যেমন: বড় মাছ এদের খেয়ে ফেললে বা হঠাৎ বড় কোনো রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই এরা মারা যায়।
ভূমধ্যসাগর ও জাপানের সমুদ্রে দেখা যায় টারিটোপসিস ডোরনি নামের জেলিফিস। জাপানের কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা খোঁজ করেছেন এই জেলিফিসের অমরত্বের রহস্য।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এক দল গবেষক।
তারা বলেন, কখনই বার্ধক্য আসেনা ব্যাকওয়ার্ড এজিং জেলিফিশের। বয়সের ভারে এদের মৃত্যু হয়না। বয়সকে লুকিয়ে ফের যৌবনে ফিরে যাওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এই প্রাণীটির।
তারা এই জেলিফিশদের জীবনচক্রের ওপর নজর রেখে দেখেছেন, কখনও এসব জেলিফিশের দেহের কোনো অংশে আঘাত লাগলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গেসঙ্গে এরা ‘পলিপ দশা’ তে চলে যায়।
পলিপের আকারে দেহের চারপাশে মিউকাস মেমব্রেন তৈরি করে তারা। এর পর ক্ষতিগ্রস্থ অংশ সেরে উঠলেই পলিপ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসে তারা।
তখন বিজ্ঞানীরা এটা দেখে অবাক হন যে, পলিপ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসা জেলিফিশগুলোর দেহের প্রায় সব কোষই নতুন ও সজীব।
আর এভাবেই নিজেদের বয়স কমিয়ে যৌবনে চলে আসে তারা। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এসব জেলিফিশ তিন দিন পলিপ অবস্থায় থেকে শরীরের সব কোষ রূপান্তর করে ফেলে।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু