আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ মার্চ ২০১৯, বুধবার |

kidarkar

আবারও সুপার মুন দেখা যাবে বৃহস্পতিবার রাতে

শেয়ারবাজার ডেস্ক: আবারও একটি সুপার মুন দেখতে পারছেন বিশ্ববাসী। মায়াবী ফুটফুটে জোত্স্নায় ভেসে যাবে চরাচর। নাসা’র বিজ্ঞানীরা বলছেন, পুর্নিমা রাতে আকাশে যে চাঁদ উঠবে সেই ‘সুপার মুন’কে দেখাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড়। চলে আসবে পৃথিবীর আরও ২৫ হাজার কিলোমিটার কাছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টা ৫৮ মিনিটে। আমেরিকায় দেখা যাবে ২০ মার্চ স্থানীয় সময় ৫টা ৫৮ মিনিটে। চলতি বছর এটাই এবছরের সর্বশেষ সুপার মুন বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যালেন।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অনুভূ’ সময়ের কাছাকাছি সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ প্রায় একটি সরল রেখায় অবস্থান করবে, সেই জন্য তখনই পূর্ণচন্দ্র হবে। দৃশ্যমান চাঁদের চাইতে বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে। গবেষকরা চাঁদের এই অবস্থাকে বলেন অনুভূ পূর্ণচন্দ্র বা পেরিজি ফুলমুন।

এদিকে নাসার মতে পৃথিবীর সাথে চাঁদের দূরত্ব অনুসারে ‘সুপারমুন’ কতটকু বড় দেখাবে সেটা নির্ভর করে। স্বাভাবিক সময়ে আমরা যে চাঁদকে দেখি, সুপারমুনের সময় তার চেয়ে এই চাঁদ দেখতে হবে প্রায় ১৪ ভাগ বড়। উজ্জ্বল্য হবে ৩০ ভাগ বেশি। এসময় চাঁদ পৃথিবী থেকে ২ লাখ ২১ হাজার ৭৩৪ মাইল (৩ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারেরও কম) দূরত্বে অবস্থান করবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০২ কিলোমিটার। বিশ্ববাসী আবারো আরেকটি সুপারমুন দেখতে পারবেন ২০৩০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি।

জানা গেছে, প্রতি বছর ২১ মার্চ সূর্য উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত কল্পিত বিষূব রেখা অতিক্রম করবে। ঠিক এ সময় সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধের এলাকা থেকে উত্তর গোলার্ধে প্রবেশ করবে। এ ঘটনাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় ঘটবে। কোথাও ১৯ মার্চ আবার কোথাও ২০ মার্চ এবং পৃথিবীর কোনো কোনো এলাকায় ২১ মার্চ ঘটে থাকে। বাংলাদেশে এ ঘটনাটি ঘটবে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৮ মিনিটে।

পৃথিবী সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর মেরু রেখা ধ্রুবতারা মুখী হয়ে কক্ষপথের সাথে সব সময় ৬৬.৫ ডিগ্রি কোণ করে হেলে থাকে। আবার নিরক্ষ রেখা বা বিষূব রেখার সমতল কক্ষপথের সাথে ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থাকে। এ কারণে প্রতি বছর ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সর্বত্র দিবা-রাত্রি সমান হয়ে থাকে। এই সময় পৃথিবীর দুই গোলার্ধেই দিনের বেলা ১২ ঘন্টা করে আলো পায় এবং ১২ ঘণ্টা পায় না। অর্থাত্ দুই গোলার্ধেই দিন-রাত সমান হয়ে থাকে।

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.