আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ জানুয়ারী ২০১৫, বুধবার |

kidarkar

লেবু পানিতে স্বাস্থ্য উপকারিতা

লেবু পানিতে স্বাস্থ্য উপকারিতাশেয়ারবাজার ডেস্ক : শতাব্দী ধরেই লেবুর গুণাগুণ জানা রয়েছে মানুষের। এরমধ্যে লেবুর একটা প্রধান উপকারিতা হলো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদির তৈরি করা রোগ বালাই দূরীকরণ এবং শরীরের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি।

আর অন্যটা হচ্ছে হজম শক্তি বাড়ানো এবং যকৃৎ পরিষ্কারের মাধ্যমে ওজন কমানোর ক্ষমতা।

তেমনি লেবুতে সাইট্রিক এসিডের পাশাপাশি আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বায়োফ্লাভোনোয়েড, পেক্টিন এবং লিমোনিন। এসব পদার্থের প্রভাবেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সর্বাধিক মাত্রায় উপকার পাবে আপনার শরীর।

কেন গরম পানি নিবেন? কারণ হলো ঠান্ডা পানির চাইতে গরম পানি অতি দ্রুত শরীরে শোষিত হয়। শুধু দিনে নয়, রাতেও এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। পরদিন সকালেও অন্য যেকোনো কাজ করার পূর্বেই এক গ্লাস লেবুর পানি পান করবেন। তাহলেই পাবেন এর অসাধারণ সব উপকারিতা।

শুধু সর্দি-ঠান্ডা নয় আজ জেনে নিন লেবুর অসাধারণ সব উপকারিতার কথা-

হজমে সহায়ক : শরীর থেকে অযাচিত পদার্থ এবং টক্সিন বের করে দেয় লেবুর রস। আমাদের হজমের জন্য ব্যবহৃত লালা এবং পাচক রসের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে এর গঠন এবং কাজের। আর যকৃতের থেকে হজমে সহায়ক এক ধরনের পদার্থ নিঃসরণেও এটি সহায়তা করে।

ডাইইউরেটিক হিসেবে লেবুর কাজ : শরীরে মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং এর মাধ্যমে খুব দ্রুত ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়া মূত্রনালির স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সহায়ক।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় লেবু : লেবুতে থাকে অনেকটা ভিটামিন সি এবং লৌহ যা ঠা-াজ্বর জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকর। এতে আরো রয়েছে পটাসিয়াম যা মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এতে থাকা অ্যাসকরবিক এসিড প্রদাহ দূর করে এবং অ্যাজমা বা এজাতীয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমায়। এছাড়াও লেবু কফ কমাতে সাহায্য করে।

শরীরের পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখবে লেবু: এর অর্থ হলো শরীরের অম্ল-ক্ষারকের মাত্রা ঠিক রাখবে লেবু। লেবু হজম হয়ে যাবার পর কিন্তু আর অম্লীয় থাকে না, ক্ষারীয় হয়ে যায়। ফলে এটি রক্তে মিশে যায় এবং শরীরের অম্লতা বাড়তে দেয় না। অম্লতা বেড়ে গেলেই দেখা দেয় নানা ধরনের রোগ।

ত্বকের জন্য লেবু : ত্বকের কুঞ্চন এবং দাগ দূর করে লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুব দরকারি হল ভিটামিন সি। ব্রণ বা অ্যাকনি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া এটি দূর করে। আর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকরী।

ক্ষত বা অস্ত্রপচার প্রক্রিয়ায় লেবু : যেকোনো ক্ষতস্থান বা অস্ত্রপচারের পর সেরে তুলতে সাহায্য করে অ্যাসকরবিক এসিড (লেবু)। আর হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এটি সহায়ক। স্ট্রেস এবং যেকোনো ধরনের ব্যথার উপশম করে ভিটামিন সি।

শরীরে তরলের পরিমাণ ঠিক রাখে : রাতে ঘুমানোর সময়ে যে পানি খরচ হয় সেটা পূরণ হয়ে যায় সকাল-সকাল এক গ্লাস পানি পানের মাধ্যমে।

ওজন কমাতেও লেবু : লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পেক্টিন থাকে। আঁশজাতীয় এই পদার্থ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে কমে যায় ওজন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের খাবারে এমন অম্লজাতীয় খাবার কম থাকে তাদের ওজন বেশি বেড়ে যায়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.