আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার |

kidarkar

পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ ২৬ দফা বাড়লো

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসসের (পিএলএফএসএল) শেয়ার লেনদেন বন্ধের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকার মেয়াদ ২৬ বার বাড়ানো হলো।

ডিএসইর নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন ২৮ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নানা সংকটে থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বন্ধের উদ্যোগ নেয়ার পর গত বছরের ১৪ জুলাই থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয় ডিএসই।

এর আগে পিপলস লিজিং বন্ধের উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে অনেক শেয়ারহোল্ডার পানির দরে কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিতে চান। কিন্তু ক্রেতার অভাবে হতাশ হতে হয় তাদের। নামমাত্র অর্থে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব দিলেও ক্রেতার অভাবে শেয়ার বিক্রি করতে পারেনি শেয়ারহোল্ডাররা।

গত বছরের জুলইতে অনিয়ম দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় চরম সংকটে থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানিটি অবসায়নের উদ্যোগ নিলে শেয়ারহোল্ডাররা আতঙ্কে পানির দরে শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দফায় দফায় দাম কামানোর পরও বিক্রেতা খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

এ পরিস্থিতিতে কারসাজির শঙ্কায় কোম্পানিটির শেয়ার শেয়াবাজারে লেনদেন বন্ধ করে দেয় ডিএসইর পর্ষদ। প্রথমিকভাবে ডিএসইর পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যতদিন কোম্পানিটির অবসায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসবে লেনদেন ততদিন বন্ধ থাকবে।

এরপর ১৫ দিন করে শেয়ার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ দিন করে ডিএসই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখছে এবং মেয়াদ শেষ হলে আবারও ১৫ দিন সমায় বাড়ানো হচ্ছে।

প্রথম দফায় পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন বন্ধের সময় বাড়ানো হয় ১৩-২৭ আগস্ট, দ্বিতীয় দফায় ২৮ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর, তৃতীয় দফায় ১২-২৬ সেপ্টেম্বর, চতুর্থ দফায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর, পঞ্চম দফায় ১৩ -২৭ অক্টোবর, ষষ্ঠ দফায় ২৮ অক্টোবর থেকে থেকে ১১ নভেম্বর, সপ্তম দফায় ১১-২৫ নভেম্বর, অষ্টম দফায় ২৬ নভেম্বর থেকে থেকে ১০ ডিসেম্বর, নবম দফায় ১১-২৫ ডিসেম্বর এবং দশম দফায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে থেকে ০৯ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।

এরপর এগারো দফায় চলতি বছরের ১২-২৬ জানুয়ারি, ১২ দফায় ২৭ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৩ দফায় ১২-২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৪ দফায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ, ১৫ দফায় ১৩-২৫ মার্চ, ১৬ দফায় ৩১ মে থেকে ১৪ জুন, ১৭ দফায় ১৫-২৯ জুন, ১৮ দফায় ৩০ জুন থেকে ১৪ জুলাই, ১৯ দফায় ১৫- ২৯ জুলাই, ২০ দফায় ৩০ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট এবং ২১ দফায় ১৪-২৮ আগস্ট, ২২ দফায় ২৯ আগষ্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর, ২৩ দফায় ১৩-২৭ সেপ্টেম্বর, ২৪ দফায় ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর, ২৫ দফায় ১৩-২৭ অক্টোবর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।

শেয়ারবাজারনিউজ/এম.আর

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.