আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ নভেম্বর ২০২০, রবিবার |

kidarkar

যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তারা যেন স্বীকৃতি পান: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ারবাজার ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফ্রিল্যান্সিং যারা করেন তারা যেন একটা সার্টিফিকেট পান স্বীকৃতি পান, সে বিষয়ে আমরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের (প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা) সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। আমাদের আইসিটি মন্ত্রণালয় ও যুব মন্ত্রণালয় সে বিষয়ে কাজ করছে। রোববার (১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিয়ের বাজারেও ছেলে ফ্রিল্যান্সিং করে বললে বলে সেটা আবার কী? আমি এখানে মেয়ে বিয়ে দেব কেন? অনেক ক্ষেত্রে স্কুল- কলেজে ভর্তি নিতে চায় না। বলে, আপনার আয় তো নিয়মিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সারদের একটা অসুবিধা আছে সেটা আমি জানি। যেহেতু এখানে কোনো রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে না, সার্টিফিকেট নেই, স্বীকৃতি নেই, অনেক সময় অনেকে জিজ্ঞেস করে আপনি কী করেন? যদি বলে ফ্রিল্যান্সার অনেকেই বুঝতেই পারে না ব্যাপারটা কী। কেউ হয়তো এটার স্বীকৃতি দেয় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা নিয়েও আমরা সজীব ওয়াজেদ জয়ের (প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা) সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের আইসিটি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের যুব মন্ত্রণালয়ও। যারা এ ধরনের ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করবে তারা যেন একটা স্বীকৃতি পায়। সনদ পায় বা একটা সার্টিফিকেট তাদের হাতে থাকে। তারা যে একটা কাজ করছে এবং কাজ করে তারা যে অর্থ উপার্জন করছে, এইটাও একটা কাজ।’

তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের যুবসমাজ অনেক বড়, কাজেই তারা দেশে বসেই বিদেশে কাজ করতে পারে। সেটা তারা করছে। কোনো কাজ করলে একটা স্বীকৃতির প্রয়োজন হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারো হয়তো নিজেরা ফ্রিল্যান্সিং করেছে, ছেলেমেয়ে আছে। স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে গেছে, ভর্তি করবে না স্কুল। ভালো স্কুল। কেন? আপনি কী ইনকাম করেন তার তো কোনো নিশ্চয়তা নাই। হয়তো দুই লাখ তিন লাখ টাকা কামাই করছে। কিন্তু তার এমন কোনো স্বীকৃতি নাই, তার ছেলে মেয়েকে ভর্তি করতে চায় না। সে ধরনের অভিযোগও এসেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের যুবসমাজ নিজেরা শুধু চাকরির পেছনে ছুটে বেড়াবে না। চাকরি দেবে। সেই ধরনের ব্যবস্থা যেন তারা করতে পারে সেটাই আমরা চাই। সেই ধরনের মন মানসিকতা থাকতে হবে। উদ্যোক্তা হতে হবে নিজেদেরকেই।’

বাংলাদেশ গড়ে তোলার পেছনে যুবকদের একটা ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শে আমরা যুবকদের গড়ে তুলব। এই বয়সটাই কাজের বয়স, মেধা বিকাশের বয়স। আমরা আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছি তখন কর্মসংস্থান তৈরিতে জোর দিয়েছি। আমাদের দেশটা পরিচালনা করবে কারা? আজকে যারা তরুণ যুবক তারাই।’

শেয়ারবাজারনিউজ/মু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.