আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ ডিসেম্বর ২০২০, সোমবার |

kidarkar

মৃত্যুর পরে আমার ভাস্কর্য হতে পারে: হিরো আলম

শেয়ারবাজার ডেস্ক:  ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরলেন মডেল, অভিনেতা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত-সমালোচিত নাম আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। গতকাল দেশের একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘ভাস্কর্য যারা বানিয়েছেন তারা রাখার জন্যই বানিয়েছেন। ভাস্কর্য নিয়ে কে কী বললো তা দেখার সময় নেই, দেশে ভাস্কর্য থাকবে। আমি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছি। তাই মৃত্যুর পরে আমার ভাস্কর্যও হতে পারে।’

হিরো আলম বলেন, ‘ভাস্কর্য সবার হয় না। শুধুমাত্র নামিদামি ও গুণী মানুষ, প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি ও গুণী শিল্পীদেরই ভাস্কর্য হয়ে থাকে। যারা বলছে ভাস্কর্য ভাঙতে হবে তারা ঠিক বলছেন না। মৃত্যুর পরে আমার ভাস্কর্য হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘যাদের ভাস্কর্য ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে তাদেরকে এক শ্রেণির মানুষ দেখতে পারে। আবার অন্য শ্রেণির মানুষ দেখতে পারে না। যারা ভাস্কর্য দেখতে পারে না তারা সারাজীবনই এই ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধিতা করবে।’

মৃত্যুর পরে কি আপনার ভাস্কর্য হতে পারে? এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক মানুষ আলোচিত-সমালোচিত হয়। ফেসবুকে অনেকেই ছয় মাস কিংবা এক বছর ভাইরাল হয়। পরে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আলোচনা বলেন কিংবা সমালোচনা- যেকোনও বিষয়ে আমি হিরো আলম এক এক করে পাঁচটি বছর মাঠে টিকে আছি। আমি যদি ভালো কাজ না করতাম তাহলে এতো মানুষের হৃদয়ে জায়গা পেতাম না। মানুষ আমাকে নিয়ে এতোকিছু করতো না। আমাকে নিয়ে মানুষের ভালোবাসা আছে বলেই মানুষ আমার ভাস্কর্য বানাতে চায়।’

২০১৮ সালে আলোচিত হিরো আলমের ভাস্কর্য তৈরি করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। সেসময় হিরো আলম প্রথমে শুনে বিশ্বাস করতে পারেননি যে তার ভাস্কর্যও তৈরি হতে পারে। তাই তিনি নিজে ভাস্কর্যটি দেখতে যান।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি জিরো থেকে হিরো হয়েছি। মানুষের ভালোবাসার কারণে জিরো থেকে হিরো। চেহারা কোনও ফ্যাক্টর নয়। ভালোবাসার কারণে আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি। মানুষের যোগ্যতা সবচেয়ে বড় বিষয়।’

শেয়ারবাজার নিউজ/মি

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.