ছয়দিনের পতনের পর ঘুরে দাঁড়াল সেনসেক্স
শেয়ারবাজার ডেস্ক: টানা ছয়দিনের ধ্বসের পর উর্ধমূখী প্রবনতায় আসলো ভারতের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ সেনসেক্স। বৃহস্পতিবার প্রায় ৩৫৯ পয়েন্ট বেড়েছে সেনসেক্সের সার্বিক সূচক। যা দিনশেষে ২৬ হাজার ৮৪০.৫০ পয়েন্টে এসে দাঁড়ায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি চিনিকলের জন্য বিনা সুদে ৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করার পরই সেনসেক্সে সূচকে এমন উন্নতি এসেছে। বুধবার এ কমিটি সারের সরবরাহ বজায় রাখার জন্যও ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা যায়।
মূলত দুই সিদ্ধান্তের কারণেই বুধবার চিনিকল ও সার সংস্থার শেয়ার দর বাড়ে প্রায় ১৩ শতাংশ। আর এর প্রভাবেই সার্বিক সূচকের এ পরিবর্তন আসে। এর আগে টানা ছয়দিনে সেনসেক্স পয়েন্ট কমেছিল ১৩৬৭ পয়েন্ট।
চিনিকল গুলোর জন্য বিনা সুদে ঋণ মঞ্জুরের সিদ্ধান্তের কারণে শক্তি সুগারের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২.৬৬শতাংশ, বাজাজ হিন্দুস্তান সুগারের ১০.০৫ শতাংশ এবং রেণুকা সুগার ৭.৬১ শতাংশ।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকেই ভারতের চিনি শিল্প আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। কিছুদিন থেকেই আখ কেনার পরে চাষিদের দাম মেটাতে পারেনি ভারতের চিনিমিল মালিকেরা। চাষিদের কাছে করা মোট বকেয়া রয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। তাই, কেন্দ্রিয় সরকার ঘাষণা করে মঞ্জুরকৃত ঋণের পুরোটাই আখের দাম মেটাতে ব্যবহার করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে ঋণের টাকা ব্যাংকে চাষিদের ‘জন-ধন’ অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করে দেবে ব্যাংক। এর আগে চাষিদের তালিকা তৈরি করে দেবেন চিনিকল মালিকরাই। প্রসঙ্গত, এর আগে এপ্রিলে ভারতে চিনির আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়। চিনি আমদানি কমিয়ে দেশীয় শিল্পের বাজার বাড়লে চিনিকলগুলি যেন চাষিদের প্রাপ্য মেটাতে পারে, তার জন্যই শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতের তিনটি ন্যাপথা ব্যবহার করে ইউরিয়া তৈরির কারখানায় উৎপাদন আপাতত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি মেলায় কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং কেরালাতে সারের জোগান অব্যাহত রাখা হবে। গ্যাস ভিত্তিক কারখানায় উৎপাদন খরচ কম বলে ন্যাপথাকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা তিন কারখানায় আগে উৎপাদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রিয় সরকার।
তবে মূলত পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার জেরেই এ দিন সূচক উঠেছে বলে ভারতের বাজার সূত্র নিশ্চিত করেছে। মরগান স্ট্যানলি ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল সূচকে চিনের শেয়ার অন্তর্ভুক্ত না-হওয়ায় তার ইতিবাচক প্রভাবও বাজারে পড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, চীনের ওই সংস্থার শেয়ার সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে সার্বিক সূচকে এর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শেয়ারবাজারনিউজ/ও/তু