নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফবিসিসিআই)। শনিবার ১৩ জুন এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কতিপয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে বাজার অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি(এফবিসিসিআই) বাণিজ্য মন্ত্রনালয় এবং আমদানিকারকদের সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সমূহের আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি আমাদের দেশের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পরিমানে আছে। যেমনঃ ভোজ্য তেলের চাহিদা তেল-এর চাহিদা ১৪ লাখ ৫০ হাজার মে. টন, মোট মজুদ আছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার মে. টন, চিনির চাহিদা ১৩ থেকে ১৪ লাখ মে. টন, মজুদ আছে ১৬ লাখ ৩২ হাজার মে. টন, পিঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ মে. টন মজুদ আছে ২৩ লাখ ৫৫ হাজার মে. টন, রসূনের চাহিদা ৫ লাখ ২৭ হাজার মে. টন, মজুদ আছে ০৫ লাখ ৫৬ হাজার মে. টন, আদার চাহিদা ৩ লাখ মে.টন, মজুদ আছে ৩ লাখ ৪ হাজার মে. টন, মসুর ডালের চাহিদা ৩ লাখ ৭৫ হাজার মে. টন মজুদ আছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার মে. টন, ছোলার চাহিদা ৬০ হাজার মে. টন মজুদ আছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার মে. টন, খেজুরের চাহিদা ১৫ হাজার মে. টন মজুদ আছে ১৭ হাজার মে. টন। এ ছাড়াও ভোজ্য তেল আরো ২ লাখ মে. টন বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে এবং পিঁয়াজ, রসূন ও আদা প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে।
এ ছাড়াও এফবিসিসিআই প্রতিদিন দেশের পাইকারী বাজার সমূহে পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি মনিটরিং করছে। পাইকারী বাজার সমূহেও পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক, তাই খুচরা বাজারেও পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে এটাই এফবিসিসিআই আশা করছে।
পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিটি পণ্যের মজুদ চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমান আছে। বেশী মুনাফার আশায় কেউ যেন পণ্যের মজুদ না করে বাজারে সরবরাহের গতি স্বাভাবিক রাখার জন্য এফবিসিসিআই ব্যবসায়ীদের নিকট আহ্বান জানাচ্ছে । বাণিজ্য মন্ত্রনায়ের ১৪টি টিম ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজার এবং প্রতিটি জেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। মনিটরিং টিমকে সহায়তার জন্য এফবিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে, যাতে প্রত্যেক দোকানে পণ্য মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখেন এবং পণ্য ক্রয়ের রশিদ সংরক্ষন করেন ও পাশাপাশি ভোক্তাদের পণ্য বিক্রির রশিদ প্রদান করেন। এছাড়াও এফবিসিসিআই ভেজাল ও ক্ষতিকারক বা নকল পণ্য ও মেয়াদ উর্ত্তীণ পণ্য বিক্রি না করার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানাচ্ছে।
পর্যাপ্ত মজুদ এবং সরবরাহ থাকা সত্বেও মূল্য বৃদ্ধির এ ধরনের অপতৎপরতা এফবিসিসিআই কোন মতেই সমর্থন করে না এবং এ ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এফবিসিসিআই অনুরোধ জানাচ্ছে। গত রমজানেও ব্যবসায়ীগন বিভিন্ন পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রেখেছেন এবং বর্তমানেও বাজার স্থিতিশীল, এ জন্য ব্যবসায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় এফবিসিসিআই।
শেয়ারবাজারনিউজ/সা