আজ: বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৮ জানুয়ারী ২০২১, সোমবার |

kidarkar

ডিজিটাল বুথে ১৩ ব্রোকারেজের আবেদনে ১২টিই অগ্রহণযোগ্য

আতাউর রহমান: শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ বাড়াতে, ব্রোকার হাউজের ব্যবসা বৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সেবা সহজ করতে দেশে এবং বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে নীতিমালা তৈরি করার পাশাপাশি নির্দেশনাও জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নির্দেশনা জারির পর সকল শর্ত পরিপালন করে কেবলমাত্র একটি ব্রোকারেজ স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে। এছাড়া আরো ১২টি ব্রোকারেজ হাউজ অসম্পূর্ণ আবেদন জমা দিয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছে বিএসইসি।

তথ্য মতে, ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত মোট ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজ। এর মধ্যে ১১টি ব্রোকারেজ হাউজ সিএসই এবং ২টি ব্রোকারজে হাউজ ডিএসইর মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছে। এই ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজ বিভিন্ন জেলায় মোট ১৬৩টি বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন জানিয়েছে। আর বিদেশের ১৩টি দেশে বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন করেছে হাউজগুলো।

তবে ব্রোকারেজ হাউজগুলো বলছে, নির্দেশনা জারির আগে দেশের অভ্যন্তরে যেসব জায়গায়(সিটি, জেলা ও ইউনিয়ন) ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য বিএসইসিতে আবেদন দেওয়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত নয়। ডিজিটাল বুথ স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহী হিসেবে ওই আবেদন জানানো হয়েছে। তবে সকল শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট জায়গায় ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিএসইসিতে আবেদন করা হবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর বিএসইসির ৭৪৭তম নিয়মিত সভায় ডিজিটাল বুথ সংক্রান্ত নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। ওই নির্দেশনা পরিপালন সাপেক্ষে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কাছে রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলায় ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন জানায়। পরবর্তীতে সিএসই তা অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে পাঠিয়েছে। সিএসই গত ৪ ও ৭ জানুয়ারি দু’টি পৃথক চিঠিতে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ডিজিটাল বুথ স্থাপনের অনুমোদন চেয়েছে।

এদিকে বিএসইসির নির্দেশনা জারি হওয়ার পর কেবলমাত্র একটি সিকিউরিটিজই প্রথম ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য যথাযথভাবে আবেদন করেছে। এছাড়া ডিজিটাল বুথের জন্য যেসব আবেদন জমা পড়েছে, তা সবগুলোই নির্দেশনা জারির আগে করা হয়েছে। ফলে ওই ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ডিজিটাল বুথ স্থাপন সংক্রান্ত নির্দেশনা পরিপালন না করেই আবেদন জানিয়েছে। এতে তাদের ডিজিটাল বুথ স্থাপনের আবেদন গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনায় নিচ্ছে না বিএসইসি। তাই ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য পুনরায় আবেদন করতে হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ব্রোকারেজ হাউজ সকল শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের বিষয়ে পুনরায় স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

বিএসইসি মনে করে, দেশে ও বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের ফলে শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি দেশের সকল নিবাসী ও অনিবাসী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সহায়ক হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে এবং চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কানাডার টরেনটোতে পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজকে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.