আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ জুন ২০১৫, মঙ্গলবার |

kidarkar

মেয়েদের কাছে ছেলেদের অজানা তথ্য

464শেয়ারবাজার ডেস্ক: মেয়েদের যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনার ভালোবাসার মানুষটি সম্পর্কে আপনি কতোটুকু জানেন? অনেকেই উত্তরে বলতে পারেন খুব বেশি নয়, আবার অনেকে বলবেন, বেশ ভালো করেই জানি তার সম্পর্কে।

অনেকের মতে নারীর মন বোঝা শক্ত পুরুষের নয়। কিন্তু ব্যাপারটি সেরকম নয়। কারণ পুরুষের মন বোঝাও কষ্টকর। পুরুষেরা নিজের উপরের শক্ত খোলসের আড়ালে অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখেন।

তাই যতোটা সহজ ভাবছেন পুরুষকে বোঝা ঠিক ততোটা সহজ নয়। এবং নিজের সঙ্গীকে যতোটা জেনে ফেলেছেন মনে করছেন ঠিক ততোটা কিন্তু এখনো জানতে পারেন নি। আজকে চলুন জেনে নিন পুরুষ সম্পর্কে এমন কিছু অজানা তথ্য।

ছেলেরা নিজেদের কেমন দেখাচ্ছে তা নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকেন: মেয়েরা ভাবেন ‘কেমন দেখাচ্ছে, কি পোশাক পড়ব’ এগুলো নিয়ে ছেলেরা একেবারেই ভাবেন না। বরং যা হাতের কাছে পান তা পরেই একেবারে যেমন ছিলেন তেমন ভাবেই দেখা করতে চলে আসেন।

বিষয়টি কিন্তু একেবারেই ভুল। মেয়েদের মতো ছেলেরাও নিজেদের লুকস নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকেন। এছাড়াও ছেলেরা মেয়েদের মতো ডায়েট না করলেও নিজেদের বডি নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকেন।

ছেলেরা মানসিক ভাবেই প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে উঠে: সামান্য বিষয় নিয়ে প্রতিযোগী মনোভাব এবং জিততেই হবে এই ধরণের ব্যাপারটি ছেলেদের মধ্যে আপনাআপনিই তৈরি হয়ে যায়। বলা হয়, ছেলেরা জন্মগত ভাবেই প্রতিযোগী ও জেতার মানসিকতা নিয়ে বড় হতে থাকেন।

শুধুমাত্র শারীরিক আকর্ষণ ছেলেদের মনে ভালোবাসার সৃষ্টি করে না: অনেকেই মনে করেন ছেলেরা শুধুমাত্র মেয়েদের শারীরিক বিষয়ে আকর্ষণ বোধ করলেই তাকে ভালোবেসে ফেলেন।

বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল, কারণ সাধারণভাবে এবং স্বাভাবিক ছেলেরা কখনোই ভালোবাসার জন্য শুধুমাত্র শারীরিক আকর্ষণকে প্রাধান্য দেন না। তারা সমঝোতা, তাকে বুঝতে পারা এবং বাস্তবের সাথে মিলিত সকল বিষয় বিবেচনা করে ভালোবাসেন।

ছেলেরা আত্মসম্মানকে ভালোবাসার চাইতেও বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন: ভালোবাসার মূল্য ছেলেদের কাছে রয়েছে কিন্তু তারা ভালোবাসার চাইতেও বেশি প্রাধান্য দেন আত্মসম্মানকে। ছেলেরা সবসময়েই নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে সম্মান আশা করেন। তাদের মাপকাঠিতে সম্মান ভালোবাসার চাইতেও উপরে থাকে। একারণে অনেক সময় ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, কিন্তু তবুও তারা এভাবেই চিন্তা করেন।

ছেলেরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন: মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে ছেলেদের কাছে আশ্রয় নিয়ে থাকেন। এই নিরাপত্তা মানসিকভাবে কাজ করেন। কিন্তু এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে ছেলেরা একেবারেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। নিজেদের একটু অসহায়ভাবে ছেলেরাও খুঁজে পান। আর তখনই ছেলেরা মেয়েদের কাছে মানসিক আশ্রয় খুঁজে থাকেন।

ছেলেরা রোমান্স অনেক পছন্দ করেন যদিও তারা তা প্রকাশ করতে ভয় পান: ছেলেরা খুব রোম্যান্টিক হয়ে থাকেন। কিন্তু তা সবসময় সঠিক ভাবে উপস্থাপন এবং প্রকাশ করতে পারেন না। কারণ তারা দ্বিধায় থাকেন ‘যদি অতিরিক্ত হয়ে যায়, কিংবা তিনি যদি কিছু ভুল করে ফেলেন অথবা তাকে নিয়ে যদি সঙ্গী মজা করেন’।

ছেলেরা শোনা কথায় কান দেয়ার চাইতে চোখে দেখায় বিশ্বাসী হয়ে থাকেন: মেয়েরা একটু কান কথায় বেশি বিশ্বাসী হলেও ছেলেরা এই কাজটি একটু কমই করেন। ছেলেরা নিজের চোখে না দেখা পর্যন্ত কোনো কথা বিশ্বাস করতে চান না। তাই আপনি বলে বলে বিরক্ত না হয়ে তাকে সত্য দেখানোর চেষ্টা করুন, দেখবেন তিনি ঠিকই বিশ্বাস করে নিয়েছেন।

ছেলেরা সবসময়েই নিজের ভালোবাসার মানুষটির সামনে দুর্বল: ছেলেরা উপরে যতোই শক্ত থাকুন না কেন তিনি তার ভালোবাসার মানুষটির সামনে অনেক বেশি দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলেন। হয়তো তিনি চান তার এই দুর্বল দিকটি শুধুমাত্র তার মনের মানুষটিই দেখুন।

শেয়ারবাজারনিউজর/রু

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.