শেয়ারবাজারে কারসাজি রোধে কাজ করবে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: দেশের শেয়ারবাজারে কারসাজি রোধ করতে কাজ করবে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স। এ নিয়ে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বাজারে গুজব, সিরিয়াল ট্রেডিং, সার্কুলার ট্রেডিং, ইনসাইডার ট্রেডিংসহ নানা ভাবে শেয়ার দর বৃদ্ধির মাধ্যমে নানা চক্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাজারকে অস্থির করে তুলছে। এসব চক্র রোধে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করবে বিএসইসি।
বিএসইসি সূত্র জানায়, কারসাজি রোধের জন্য মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করবে বিএসইসি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে কিভাবে তা কাজ করবে তার একটি রুটম্যাপ তৈরির কাজ চলছে। সবকিছু বিচার বিশ্লেষণের পর তা চূড়ান্ত রূপ পাবে।
মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করার পর এর সদস্যরা ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে নজরদারি বাড়াবে। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে ট্রেকহোল্ডাররাও মার্কেট ইন্টেলিজেন্স আওতায় থাকবে। বাজারে কোনো ধরনের ম্যানুপুলেশন হলে সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের কাছে ধরা পড়বে। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ম্যানুপুলেশনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এভাবে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স গঠনের বিষয়টি এগিয়ে যাচ্ছে।
এ সম্পর্কে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, শেয়ারবাজার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাজারে ম্যানুপুলেশন রোধে মার্কেট ইন্টেলিজেন্স শক্তিশালী করবে কমিশন। এ বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার আগে বেশকিছু বিষয় পর্যালোচনা করা হবে। এরপর তা চূড়ান্ত রূপ পাবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে অডিটরদের মিথ্যা তথ্য, ইস্যু ম্যানেজারদের প্রতারণা, আন্ডার রাইটাদের জবাবদিহির বাইরে থাকা, স্পন্সরদের প্রতারণা, পুন:মূল্যায়নের মাধ্যমে কোম্পানির জমির দাম অতিরঞ্জিত দেখানো, হঠাৎ কোম্পানির ইপিএস বৃদ্ধি পাওয়া বা কমে যাওয়া, পণ্যের বিক্রি বেড়ে যাওয়া, উৎপাদন বেড়ে যাওয়া, ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা নতুন কিছু নয়। এসব কিছুর ওপর ভিত্তি করেই কারসাজি চক্র ফায়দা লুটতে চেষ্টা করে। যা বাজারকে অস্থির করে তুলে। বাজার তার গতি হারায়, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি আস্থা হারায় বিনিয়োগকারীরা।
তারা বলছেন, মার্কেট ইন্টেলিজেন্স গঠনের মাধ্যমে যদি এসব ম্যানুপুলেশন রোধ করা সম্ভব হয়, তাহলে বাজারের জন্য তা ইতিবাচক ধারা বয়ে আনবে। তবে ম্যানুপুলেশন হওয়ার পর তা চিহ্নিত না করে আগেই তার মূল উৎপাটনে কাজ করতে হবে মার্কেট ইন্টেলিজেন্সকে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, মার্কেন্ট ইন্টেলিজেন্স যদি ম্যানুপুলেশন রোধ করতে সহায়ক হয়, তাহলে উদ্যোগটি নিশ্চিয় সুফল বয়ে আনবে বলে আশা করছি।
ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রহমত পাশা বলেন, ম্যানুপুলেশন হউক সেটা কোনো বিনিয়োগকারী প্রত্যাশা করে না। বিনিয়োগকারীরা সব সময় বাজারের ভালো পরিবেশ দেখতে চায়। বিএসইসি মার্কেট ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করছে তা খুবই ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে বাজারে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী বাজারে আসতে আগ্রহী হবে।
আমার একটি গল্প মনে হলো – এক রাজার কিছু ঘোড়া ছিল, একজন চাকর তা দেখাশোনা করতো, রাজা প্রতি বছর পরিদর্শনে যায়।তখন মন্ত্রী বললেন হুজুর চাকরটা কি না কি করে ঘোড়াগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, একজন ম্যানেজার নিয়োগ দেয়া হউক। যে কথা সেই কাজ। ম্যানেজার এসে এই ব্যাটা তুই কি করিস।চাকর বললো আমি ৫কেজি ছোলা নিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে খাই, ঠিক আছে, আমার বাসায় ২০ কেজি করে পাঠিয়ে দিলেই চলবে। পরের বছর পরিদর্শনে গিয়ে দেখলো ঘোড়ার অবস্থা আরো খারাপ। পরে একজন ফোরম্যান — এক বস্তা। প্রশাসক –দুই বস্তা করে নিতে লাগলো। ততক্ষণে রাজা বুঝতে পারলেন,আমার চাকরটাই ভালো ছিলো। আমাদের শেয়ার বাজারের অবস্থা ও তাই ——।
এই ইন্টেলিজেন্স তখন ই কাজ করবে যদি সরাসরি এটি চেয়ারম্যান স্যার মনিটরিং করেন আর বিনিয়োগকারীদের তথ্য দেয়ার & তা যাচাই করবার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে।
Vai atai sotto
whenever the market gets greener, sec implements various monitoring program and as effects market falls.