আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ মার্চ ২০২১, সোমবার |

kidarkar

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে “হোম ম্যাচই” থাকছেনা বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে বাংলাদেশের তিনটি ‘হোম ম্যাচ’ তাদের মাঠে হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শুরুতে নিজেদের মাঠে খেলার ব্যাপারে অনড় ছিল। কিন্তুইদানীং সুর বদল হচ্ছে। তাতে শেষ তিন ম্যাচের সবগুলোই সেন্ট্রালাইজ ভেন্যুতে খেলতে হতে পারে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের।

আফগানিস্তান, ভারত ও ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তিনটি ম্যাচ বাকি আছে বাংলাদেশের। আগামী ২৫ মার্চ আফগানিস্তান, ৭ জুন ভারত ও ১৫ জুন ওমানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তান বাংলাদেশে ম্যাচ খেলতে আসতে রাজি নয়। ম্যাচটি জুনে সেন্ট্রালাইজ ভেন্যুতে নেওয়ার জন্য এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) দ্বারস্থ হয়েছিল দেশটি। এএফসির সঙ্গে বাফুফের কিছুদিন ধরেই এ নিয়ে চলছিল চিঠি চালাচালি। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ সোমবার যা বললেন, তাতে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ না হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।

“এএফসি আমাদেরকে যে চিঠি দিয়েছে, সেখানে এটাও বলা হয়েছে আফগানিস্তান মার্চ উইন্ডোতে ম্যাচটি খেলতে চায় না। জুন উইন্ডোতে খেলাটা আয়োজন করার যে অপশন রয়েছে, আফগানিস্তান চাইছে সেভাবে। পরোক্ষভাবে আফগানিস্তানের ইচ্ছাটা জুনে খেলার, সেটা তারা এএফসিকে জানিয়েছে। আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করছি। তাদের পরের ফিডব্যাক পাওয়ার পর বলতে পারব মার্চে খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিনা।

যদি মার্চ উইন্ডোতে খেলাটি না হয়, তাহলে আমাদের যে তিনটি ম্যাচ রয়েছে, সেগুলো নিয়ম অনুযায়ী…যেভাবে এএফসি প্রেসক্রিপশন দিয়েছে, প্রেসক্রাইব করেছে, সে অনুযায়ী জুনের উইন্ডোতে সেন্ট্রালাইজ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।”

বাংলাদেশে আসা নিয়ে আফগানিস্তানের অনাগ্রহের কারণও জানিয়েছেন সোহাগ। বলেছেন, শেষ পর্যন্ত হোম ম্যাচগুলো নিজেদের মাঠে আয়োজনের চেষ্টার কথাও।

“আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা নির্দিষ্ট কোনো দেশ থেকে আসছে না। বিভিন্ন দেশ থেকে আসবে। তারা আসলে এই বিষয়গুলোতে হয়তো তাদের মতো করে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।”

“আমরা এর আগেও বলেছি, অলরেডি চারটি দেশই চায় সেন্ট্রালাইজ ভেন্যুতে খেলাগুলো হোক। একমাত্র আমরাই চাই আমাদের দেশে হোক। যেহেতু আমাদের তিনটি হোম ম্যাচ বাকি রয়েছে। আমাদের অবস্থান ছিল হোম সুবিধা নেওয়ার। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেটা নেওয়ার জন্য যেখানে যতটা বলার, চিঠি দেওয়ার আমরা বলব এবং চিঠি দিব।”

পাঁচ ম্যাচে চার হার ও এক ড্রয়ে ‘ই’ গ্রুপে তলানিতে আছে বাংলাদেশ। কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ড্র করে একমাত্র পয়েন্ট পেয়েছিল জেমি ডের দল।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.