বিএসইসি- বিএমবিএ সেমিনার: প্রথম দিনেই ৭০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি করার দাবি

শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বিএসইসির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিএমবিএ সভাপতি সায়েদুর রহমান বলেন, শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিনে শেয়ারের সাপ্লাই দেয়া সম্ভব হয় না। কারণ আমাদের এখানে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের ৩০ শতাংশ শেয়ার বাদে বাকি ৭০ শতাংশ ফ্রি করে দেন।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ভবনে অনুষ্ঠিত রোল অব ইস্যু ম্যানেজারস আইপিও অ্যাপ্লিকেশন শীর্ষক বিএসইসি ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) মাঝে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সায়েদুর রহমান বলেন প্রথম দিন থেকে আমরা কিভাবে শেয়ার সাপ্লাইকে বাড়াতে পারি এবং যদি নিচ থেকে প্রাইস তৈর হয় তাহলে কাউকে নিয়ে কোনো সমালোচনা হবে না।
তিনি বলেন, আইপিও শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিনেই যখন শেয়ার দর ৩০ টাকা বা ৪০ টাকা হয় তখন এখান থেকে বিক্রি করে টাকাটা নিয়ে চলে যাচ্ছে আইপিও শিকারিরা। কিন্তু এখন মিনিমাম ২০ হাজার টাকা না থাকলে আইপিওতে আবেদন করতে পারে না। এটা আগে ছিল না বলে এক শ্রেণীর আইপিও শিকারিরা বাজার থেকে সুবিধাটা নিয়ে চলে গেছে। কোনো আইপিও শেয়ার ৪০ টাকা ট্রেড হওয়ার পরে যখন ১২ টাকায় বা ১৪ টাকায় আসে সেটার জন্য সত্যিকার অর্থে ইস্যু ম্যানেজার দায়ী না।
তিনি বলেন, ২০০৫ বা ২০০৬ সাল পর্যন্ত কোনো আইপিওয়ের ১০০ টাকার শেয়ার ২০০ টাকা হয় নাই। খুব কম। দুই একটা। একটা আমার মনে আছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৫০ টাকা প্রিমিয়ামে আসছিল সেজন্য এটার দর ২০০ টাকা হয়েছিল। কিন্তু আজকে আপনি আলু পটল যাই নিয়ে আসুন না কেন সেটার দাম চার থেকে পাঁচ গুন হয়ে যাচ্ছে। যখন চার থেকে পাঁচ গুন হচ্ছে সেই টাকাটা কিন্তু আইপিও শিকারিদের মাধ্যমে মার্কেটের বাইরে চলে যাচ্ছে। আজকে কোনো কোম্পানি লিস্টিং হওয়ার পরে যদি ১০ টাকার শেয়ার ১২ টাকায় ট্রেড হতো, এক বছর পরে ডিভিডেন্ড ডিক্লারেশন হলে সেটা কতো টাকায় যেত। তাহলে ডিভিডেন্ডের জন্য বিনিয়োগকারীরা শেয়ার হোল্ড করতো।
সায়েদুর রহমান আরো বলেন, শেয়ার দর কেন ১২ টাকায় বা ১৫ টাকায় না হয়ে সেটা ২৩ টাকায় বা ৪০ টাকায় হচ্ছে। কমিশনের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। আগের কমিশন ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার দিয়ে গেল। কিন্তু সেটাও দেখা গেল কাজ করছে না। সকাল বেলা পৌনে ১০টার সময় ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায় অফার দিয়ে রাখে।
এর আগে আইপিও রুলের যখন পরিবর্তন হয়েছে সেখানেও প্রথম দিনেই শেয়ারটা এভেইলেবল করার প্রস্তাব দিয়েছি উল্লেখ করে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, আজকে যদি রবির প্রথম দিন সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার শেয়ার এভেইলেবল থাকতো তাহলে কি ৭০ টাকায় শেয়ার নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতো কেউ। কেউ দেখতো না। তাহলে যে বিনিয়োকারী ৭০ টাকায় কিনে আজকে ৪০ টাকায় বা ৪৫ টাকায় আসার পরে কান্নাকাটি করছে। তাকে কে ৭০ টাকায় কিনতে পরামর্শ দিয়েছে। আজকে এক শ্রেণীর বিনিয়োগকারী আছে যারা বলছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেল করে দিচ্ছে। আচ্ছা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেল করবে না তো কি করবে, তারা কি আপনাদের দায়িত্ব নিয়েছে যে স্মল বিনিয়োগকারীদের প্রফিট করিয়ে দিবে। এই যে অন্ধের হাতি দেয়ার মতো একেক পাশ থেকে একেক সমালোচনা করি, এই সমালোচনা থেকে আমাদের বের হতে হবে।
কোনো কোম্পানি এসেই ১০০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে ১০ শতাংশ বা ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিব। একটা শেয়ার যখন ১০ শতাংশ বা ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিবে ১ টাকা দিবে বা ১.২০ টাকা দিবে বা ১.৫০ টাকা দিবে, তো ১.৫০ টাকার জন্য আপনি কতো টাকা ইনভেস্ট করবেন।
ক্যাপিটাল রেইস করতে কোনো পার্মিশন লাগে না উল্লেখ করে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, ক্যাপিটাল রেইস করতে পার্মিশন না লাগার কারণে ক্যাপিটাল এখন তথাকথিত কনসালটেন্টরা বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে ক্যাপিটাল রেইস করে ফেলে। যখন আপনি আইপিও করতে চাচ্ছেন তখন রিকোয়ার ডকুমেন্ট ওখান থেকে পাচ্ছে না। কারণ আপনার দরকার হলে করাপসেটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একাউন্টে থেকে কোম্পানির একাউন্টে টাকা আসতে হবে। কিন্তু সে তথাকথিকভাবে ক্যাপিটাল রেইস করে দিয়ে সার্টিফাইড কপি এনে সে কনসালটেন্টসি করে তার ফিস নিয়ে চলে গেছে। এখন আপনি যখন ইস্যু ম্যানেজমেন্ট করতে গেছেন তখন আপনার জন্য উভয় সংকট হয়ে গেছে। তাই আমরা মনে করি এই পুরানো অবস্থা কমিশন যদি বিষয়টি আবার সদয় বিবেচনা করে এবং মার্চেন্ট ব্যাংকারদের কাজের পরিধি এমনিতেই অনেক ছোট। আমাদের এখনে কাজ খুব কম। এখন আমরা মনে করি যেকোনো ধরনের ক্যাপিটাল রেইস বা বন্ড হোক, যাই হোক আমার বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে ইমপোর্ট করা হোক।
সায়েদুর রহমান আরো বলেন, আইপিওর মাধ্যমে একমাত্র ক্যাপিটাল মার্কেটকে বড় করার জন্য নতুন ইস্যু আসবে, নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে। তার সাথে আবার ছোট ছোট সেভিংস যেগুলো আছে সেগুলো বাজারের মাধ্যমে কাজ করে শিল্পায়নে বা ইনফ্রাচট্রাকচারে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য আমরা এই ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম কথা শুনি। বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকারদের উপরই পুরো ব্লেমটা আসে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অডিটরদের উপর আসে। আমরা তো পেশাগত দায়িত্ব পালন করছি। দেশে প্রচলিত আইপিও রুলস যেটা আছে বা অন্যান্য রিলিভেন্ট রুলস যা আছে তা পরিপালন করেই আমরা নিউ সিকিউরিটিজ ইস্যু করি। তার পরেও কেন আমার বন্ধুরা, সহকর্মীরা সমালোচনা শিকার হচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি আমার মার্চেন্ট ব্যাংকার কোনো একজন যদি সমালোচনার মধ্যে পরে আমিও সেটার সাথে সম্পৃক্ত কারণ আমি মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন লিড দিচ্ছি। এই মূহুর্তে আমার কলিগ বা মার্চেন্ট ব্যাংকারের যদি কোনো সমালোচনা সম্মূখীন হয় আমি মনে করি সেটা আমার ব্যক্তিগত সমস্যারই অংশ।
২০হাজার টাকার শেয়ার থাকলে I P O করতে পারবে। ২লাখ টাকা করা হউক।দেখবেন বাজার অটো চাংগা হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেলেই শেয়ার বিক্রি করবে, তবে আইপিও তে তাদের কোটা বাতিল করা হউক। তারা যদি খুদ্র বিনিয়োগকারীদের মত আচরন করে, তবে তাদের আইপিও তে অংশগ্রহণ বাতিল করা হউক। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে নতুন ইস্যু কোম্পানির শেয়ার থাকলে স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের ৩০ শতাংশ শেয়ার বাদে বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি থাকবে। এবং একজন হাতে থাকা এক লট শেয়ার দিয়ে বাজার মূল্য নিদ্ধারনে ভুমিকা রাখতে পারবেনা।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেলেই শেয়ার বিক্রি করবে, তবে আইপিও তে তাদের কোটা বাতিল করা হউক। তারা যদি খুদ্র বিনিয়োগকারীদের মত আচরন করে, তবে তাদের আইপিও তে অংশগ্রহণ বাতিল করা হউক। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে নতুন ইস্যু কোম্পানির শেয়ার থাকলে স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের ৩০ শতাংশ শেয়ার বাদে বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি থাকবে। এবং একজন হাতে থাকা এক লট শেয়ার দিয়ে বাজার মূল্য নিদ্ধারনে ভুমিকা রাখতে পারবেনা।
আইপিও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রাপ্য ব্রোকার নয়। ব্রোকার ব্যাবসা করবে সামর্থ্য, দক্ষতা এবং যোগ্যতা দিয়ে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেলেই শেয়ার বিক্রি করবে, তবে আইপিও তে তাদের কোটা বাতিল করা হউক। তারা যদি খুদ্র বিনিয়োগকারীদের মত আচরন করে, তবে তাদের আইপিও তে অংশগ্রহণ বাতিল করা হউক। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে নতুন ইস্যু কোম্পানির শেয়ার থাকলে স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের ৩০ শতাংশ শেয়ার বাদে বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি থাকবে। এবং একজন হাতে থাকা এক লট শেয়ার দিয়ে বাজার মূল্য নিদ্ধারনে ভুমিকা রাখতে পারবেনা।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেলেই শেয়ার বিক্রি করবে, তবে আইপিও তে তাদের কোটা বাতিল করা হউক। তারা যদি খুদ্র বিনিয়োগকারীদের মত আচরন করে, তবে তাদের আইপিও তে অংশগ্রহণ বাতিল করা হউক। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে নতুন ইস্যু কোম্পানির শেয়ার থাকলে স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের ৩০ শতাংশ শেয়ার বাদে বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি থাকবে। এবং একজন হাতে থাকা এক লট শেয়ার দিয়ে বাজার মূল্য নিদ্ধারনে ভুমিকা রাখতে পারবেন | আমি এটা সমর্থন করি।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেলেই শেয়ার বিক্রি করবে, তবে আইপিও তে তাদের কোটা বাতিল করা হউক। তারা যদি খুদ্র বিনিয়োগকারীদের মত আচরন করে, তবে তাদের আইপিও তে অংশগ্রহণ বাতিল করা হউক। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে নতুন ইস্যু কোম্পানির শেয়ার থাকলে স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের ৩০ শতাংশ শেয়ার বাদে বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি থাকবে। এবং একজন হাতে থাকা এক লট শেয়ার দিয়ে বাজার মূল্য নির্ধারনে ভুমিকা রাখতে পারবেনা।
১০০% সঠিক।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যদি শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেলেই শেয়ার বিক্রি করবে, তবে আইপিও তে তাদের কোটা বাতিল করা হউক। তারা যদি খুদ্র বিনিয়োগকারীদের মত আচরন করে, তবে তাদের আইপিও তে অংশগ্রহণ বাতিল করা হউক। শুধু মাত্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে নতুন ইস্যু কোম্পানির শেয়ার থাকলে স্পন্সর বা ডিরেক্টরদের ৩০ শতাংশ শেয়ার বাদে বাকি ৭০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি থাকবে। এবং একজন হাতে থাকা এক লট শেয়ার দিয়ে বাজার মূল্য নিদ্ধারনে ভুমিকা রাখতে পারবেন | আমি এটা সমর্থন করি।
উত্তর দিন