এলআর গ্লোবালের রিয়াজ ইসলামকে অপসারণে লিগ্যাল নোটিশ বিএসইসিকে
শেয়ারবাজার রিপোর্ট : এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) রিয়াজ ইসলামের অপসারণ চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাগরুব কবির।
গতকাল বুধবার এলআর গ্লোবালের আমেরিকার শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিভাগের দায়িত্বে থাকা কমিশনার ড. মিজানুর রহমানের কাছে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রিয়াজ ইসলামের কর্মকান্ডে নাখোশ হয়ে তার অধীনে পরিচালিত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও গ্রীণ ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড অন্য অ্যাসেট ম্যানেজারের কাছে হস্তান্তরে ইউনিটহোল্ডাররা সিদ্ধান্ত নেয়। তারা ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও গ্রীণ ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটহোল্ডাররা আইনের মধ্য থেকেই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ৪৭.৭০ শতাংশের মালিক আমেরিকার প্রাইভেট বিনিয়োগকারী কোম্পানি এলআর ম্যানেজারস ইনভেস্টমেন্টস এলপি। বাকি ৫২.৩০ শতাংশের মালিক ও বর্তমান প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) রিয়াজ ইসলাম। এই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ৬টি ক্লোজড-এন্ড বা মেয়াদি ফান্ডের ১ হাজার ৫২ কোটি টাকার সম্পদ পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু রিয়াজ ইসলামের অনৈতিক বা অবৈধ কর্মকান্ডের কারনে কোম্পানিটি সমালোচনার মুখে।
রিয়াজ ইসলাম সিকিউরিটিজ আইন ছাড়াও অন্যান্য অনিয়ম করেছে। সে শুধুমাত্র সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ ১৯৬৯ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ডস) রুলস ২০০১ ভঙ্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তিনি ফান্ড আত্মসাৎ, অবৈধ বিনিয়োগ, মিথ্যা স্টেটমেন্ট দাখিল ও ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থবিরোধী অন্যান্য কার্যক্রম করে আসছেন। কিন্তু তারপরেও তার বিরুদ্ধে বিএসইসিতে চিঠি দিয়ে কোন জবাব বা প্রতিকার পাওয়া যায়নি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।