আজ: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ এপ্রিল ২০২১, সোমবার |

kidarkar

৯টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাবি উপাচার্যকে চিঠি

শিক্ষা ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধসহ ৯টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান।

চিঠিতে উল্লেখ করা সিদ্ধান্তগুলো হলো- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে নতুনভাবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা, গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেওয়া সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ সংক্রান্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৫০৩তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সব নিয়োগ বাতিল করা, ফলিত গণিত বিভাগে নিয়মবহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষককে দেওয়া এডহক নিয়োগ বাতিল করা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে উপেক্ষা করার কারণ ব্যাখ্যা করা, পূর্ববর্তী রেজিস্ট্রারকে অপসারণ না করে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে রেজিস্ট্রারকে অপসারণের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম অতিসত্বর নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করা।

চিঠিতে আরও উল্লেখ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি ২৫টি অভিযোগের প্রমাণ পায়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১০ ও ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যায় ও অপকর্মের সাথে জড়িত কতিপয় শিক্ষক-কর্মকর্তাকে তলব এবং সব নিয়োগ বন্ধসহ নির্দেশনামূলক ১২টি পত্র প্রদান করে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৪ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় সর্বসম্মতভাবে নয়টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

চিঠির বিষয়ে উপাচার্য দপ্তরের সচিব মীর শাহ্জাহান আলী বলেন, ‘উপাচার্য স্যার অনেক দিন প্রশাসন ভবনে বসেন না। আমি টিকা নিতে ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। তবে শুনেছি দপ্তরে এ বিষয়ে একটি চিঠি এসেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি সভা হয়েছে। সেখানের কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এটি আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.