আজ: মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ মে ২০২১, বুধবার |

kidarkar

সাসপেন্ড কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট

‌‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনা রনৌত। তার টুইট মানেই নতুন কোনো বিতর্ক। প্রায়ই টুইটারকে হাতিয়ার করে নিশানা করেন একে-ওকে। বাদ যায় না বিনোদন জগত থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও।

পশ্চিমবঙ্গের ভোটের রায় ঘোষণার আগে থেকেই মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে লাগাতার ‘বিষোদগার’ করছিলেন কঙ্গনা রনৌত। ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও একাধিক টুইট করেছিলেন তিনি। যা টুইটারের নীতির বিরুদ্ধে অর্থাৎ ঘৃণা ছড়ায় এমন বার্তা দিচ্ছিলেন কঙ্গনা।

এমনকি মোদিকে বাংলা সামলানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন। তারপরই সাসপেন্ড করা হলো বলিউডের এই অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্টটি।

কী টুইট করেছিলেন কঙ্গনা? মমতা ব্যানার্জীকে নিশানা করে বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তর টুইটে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কঙ্গনা তার টুইটে লিখেছিলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর… গুন্ডাইকে মেরে ফেলার জন্য আমাদের সুপার গুন্ডাইয়ের প্রয়োজন… তিনি অব্যক্ত দানবের মতো, তাকে দমন করার জন্য দয়া করে ২০০০ সালের প্রথম দিকের বিরাট রূপটা দেখান মোদিজি… #প্রেসিডেন্টরুলইনবাংলা।’

২ মে ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর কঙ্গনা টুইট করেছিলেন, ‘বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতা ব্যানার্জীর সবচেয়ে বড় শক্তি… যা ট্রেন্ড দেখছি তাতে বাংলায় আর হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই এবং তথ্য অনুযায়ী গোটা ভারতের অন্য এলাকার তুলনায় বাংলার মুসলিমরা সবচেয়ে গরীব আর বঞ্চিত। ভালো আরেকটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।’

জানা গিয়েছে পকাপাকিভাবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে কঙ্গনার এই অ্যাকাউন্টটি।

টুইটারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমরা বারবার জানিয়েছি কোনও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করা হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেবো। এই অ্যাকাউন্টটি একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমাদের হেটফুল কনডাক্ট (ঘৃণা ছড়ানো) পলিসি ও অ্যাবিউসিভ বিহেবিয়ার (খারাপ ব্যবহার) পলিসি না মানার জন্য। আমরা নিশ্চিত করতে চাই টুইটারের সব ব্য়বহারকারীদের জন্যই এক নিয়ম মেনে চলি আমরা।’

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.