বীমায় উল্লম্ফন অব্যাহত
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: বাজেট পরবর্তী সময়ে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে বেশ গতি এসেছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ছাড়ানোর পর দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচক ও লেনদেন কিছুটা কমে। তবে আজ তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার বীমা খাতে ভর করে ইতিবাচক ধারায় লেনদেন শেষ হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত রোববার ও সোমবার বীমার খাতের শেয়ার দর যতোটুকু কমেছিলো আজ মঙ্গলবার তার চেয়ে বেশিই বেড়েছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বীমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে শুধু ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের দর ৮০ পয়সা কমেছে। বাকি সবগুলো কোম্পানির দরই বেড়েছে। দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে নয়টি কোম্পানি।
সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে দর হারানোর আগে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দর ছিল ৮৬ টাকা ৪০ পয়সা। এক দিনের উত্থানে সেই পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না কোম্পানিটির পক্ষে। তবে যতটা বাড়া সম্ভব, ততটাই বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা ২০ পয়সা।
গতকাল সোমবার রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ক্লোজিং ৪৭ টাকা ৫০ পয়সায় হলেও আজ মঙ্গলবার চার টাকা ২০ পয়সা বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৭০ পয়সা। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের দর এক লাফে বেছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির ক্লোজিং হয়েছে ১০৭ টাকা ৯০ পয়সায়।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বা ১০ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের দাম ১৪ টাকা ২০ পয়সা বা ৮.৫৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা ৪০ পয়সা। প্রগতি লাইফের দাম ১১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৬১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। দর সংশোধনের সময়েও এই কোম্পানি তিনটি স্থির ছিলো।
মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১১টিই বীমা খাতের।
শুধু বীমা খাত নয়, এদিন ইতিবাচক ধারায় ছিলো ব্যাংক খাতও। বস্ত্রখাতেও চাঙাভাব দেখা গেছে।
বাজার পরিস্থিতি
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ডিএসইতে সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সাথে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার অংকে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
দিনশেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৩ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক দশমিক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৯০ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক .৮৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৯৫ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৬৯ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮১ টির, দর কমেছে ১৪৫ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩ টির।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ২ হাজার ৬৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৮ কোটি ১ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে। সিএসইতে ৩০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ১১১টির আর ৪১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৮৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
Valo
Insurance Is The best
Insurance Is Rhe Best
Mexico syn ar khobor ke pl ganaben