শেয়ারবাজার: লেনদেন চালু রাখার পক্ষে মত
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত আর বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে ৭ দিন সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময়ে শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে কিনা তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। তবে এই সংশয় থাকবে না বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার যে লকডাউন ঘোষণা করে তার মধ্যে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা ছিলো। একই সাথে খোলা ছিলো শেয়ারবাজার। এ সময়ে শেয়ারবাজারে ভালো লেনদেন হয়েছে। এমনকি সূচকও বেড়েছে বেশ। এ জন্য সোমবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে বাজারে লেনদেন চালু থাকবে বলে আশা করছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান শেয়ারবাজারনিউজকে বলেন, আমি মনে করি শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ রাখার কোনো দরকার নেই। কারণ, এখন অনলাইনে শেয়ার কেনা-বেচা করা যায়। এরজন্য হাউজেও যেতে হয় না। তাই বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসেই লেনদেন করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের সাথে সমন্বয় থাকতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, কোভিড পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বের শেয়ারবাজার ইতিবাচক ধারায় আছে। আমাদের শেয়ারবাজারও ইতিবাচক ধারায় থাকবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক ও সাবেক সভাপতি মোঃ রকিবুর রহমান বলেন, লকডাউনে ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে। আগেরবার বাজার বন্ধ রাখার বিষয়ে তখনকার কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল মারাত্মক ভুল, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের বাজার সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে। বর্তমান কমিশন নিশ্চিতভাবেই ওই ভুল করবে না।
তিনি বলেন, অনেকে বাজার বন্ধ থাকতে পারে বলে অকারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। কিন্তু দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, লকডাউনে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকবে এমন বিভ্রান্তি বা গুজব ছড়ানোর কোনো অবকাশ নাই। কোনো বিনিয়োগকারীর উচিত হবে না এমন গুজবে কান দেওয়া।
তিনি বলেন, লকডাউনে ব্যাংকে লেনদেনের সময়সূচি কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক এটি চূড়ান্ত করবে। আর এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করবে বিএসইসি।
এখন অনলাইনে শেয়ার কেনা-বেচা করা যায়। এরজন্য হাউজেও যেতে হয় না। তাই বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসেই লেনদেন করতে পারবেন। ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা রাখা উচিত
খোলা রাখা উচিত
লগ ডাউনের নামে শেয়ার বাজার চালু রাখলে বিনিয়োগকারিরা পেনিক হবেনাতো।